দমকা-হাওয়ায়: ভাঙা তোরণ গোলকুয়াচকে। নিজস্ব চিত্র
দমকা হাওয়ায় ভেঙে পড়ল গাছ, তোরণ। রাস্তা আটকে ব্যাহত হল যান চলাচল। শনিবার এই বিপত্তি বেধেছে জেলার সদর শহর মেদিনীপুরে। পরে অবশ্য রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ, তোরণ সরানো হয়। ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্যোগে মেদিনীপুরে বড় কোনও সমস্যা হয়নি। তবে শনিবার দিনভর মেদিনীপুরের আকাশ ছিল মেঘলা। মাঝেমধ্যে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। গত দু’দিনে শহরে প্রায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আজ, রবিবারও আকাশ মেঘলা থাকতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।
উৎসবের মরসুমে শহর জুড়ে তোরণের ছড়াছড়ি। কয়েক সপ্তাহ আগে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রচারে শহরের গোলকুয়াচকের কাছে একটি তোরণ করা হয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় রয়েছে মেদিনীপুর কলেজ, মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল। শনিবার ভোরে ঝড়-বৃষ্টির সময় দমকা হাওয়া দেয়। হাওয়ার ঝাপটাতেই তোরণটি ভেঙে পড়ে। ঘটনার সময় রাস্তায় পথচলতি মানুষজন ছিলেন না। ফলে, বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। তবে সকালের দিকে ঘন্টা দুয়েক যান চলাচল ব্যাহত হয়। তোরণ ভেঙে পড়ার খবর যায় পুলিশ- প্রশাসনের কাছে। এরপর ভাঙা তোরণ সরানোর কাজ শুরু হয়। এদিন ভোরে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে থাকা একটি গাছও ভেঙে পড়ে। ভাঙা ডালপালার পাশ দিয়েই গাড়ি চলাচল করেছে।
দমকা হাওয়ায় শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের রেপ্লিকাও। ভেঙে গিয়েছিল রেপ্লিকা ঘিরে চারপাশে থাকা ফাইবারের ঘেরাটোপ। শহরের কালেক্টরেট মোড়ে জেলা পুলিশের উদ্যোগে এই রেপ্লিকা বসানো হয়েছিল। শনিবার জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “রেপ্লিকাটি মেরামত করা হচ্ছে। ফের ওখানেই ওটি বসানো হবে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ফাইবারের ঘেরাটোপ নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে।
রাস্তা আটকে থাকা তোরণের জেরে দুর্ভোগ মেদিনীপুরে নতুন নয়। এখনও অনেক দুর্গাপুজোর হোর্ডিং-ব্যানার-তোরণই খোলা হয়নি। শহরের প্রধান রাস্তাগুলো এমনিতেই সঙ্কীর্ণ। তোরণ থাকলে তা আরও সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে। যানজটের জেরে পথচলাই দায় হয়ে ওঠে।। মাঝেমধ্যে ছোট-বড় অঘটনও ঘটে। এ দিন যেমন গোলকুয়াচকের কাছে তোরণ ভেঙে বিপত্তি হয়েছে। মেদিনীপুরের উপপুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাসের অবশ্য আশ্বাস, “পুজো শেষ হলেই পুজোর জন্য লাগানো হোর্ডিং-ব্যানার-তোরণ খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা হয়েছে কি না এ বার দেখা হবে। না হলে পুরসভা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।’’