বিজেপির সভায় আটকে অ্যাম্বুল্যান্স। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত ভোটের পরে জেলায় বিজেপির প্রথম বড় জমায়েত। অশান্তির আশঙ্কায় মেদিনীপুরে প্রায় দু’শো পুলিশ মোতায়েন করা হল।
বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের পরও তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’ থামেনি। শাসক দলকে পুলিশ সাহায্য করছে বলেও অভিযোগ বিজেপির। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষোভ-অবস্থানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। শহরের এলআইসি মোড়ে এই কর্মসূচি হয়। পাশেই জেলা কালেক্টরেট। জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক (সদর) সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের দফতর। জমায়েত থেকে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কায় এ দিন এলআইসি মোড়ে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
ঠিক কেমন ছিল এ দিনের আয়োজন? পুলিশ সূত্রের খবর,এ দিন মোতায়েন করা হয়েছিল ডিএসপি পদমর্যাদার ১ জন আধিকারিক, ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার ১ জন আধিকারিক, এসআই- এএসআই মিলিয়ে ৯ জন পুলিশকর্মী। ছিলেন ১ জন মহিলা এসআই। কনস্টেবল ছিলেন ১২০ জন। এরমধ্যে লাঠিধারী ৬০ জন, বন্দুকধারী ৫ জন, ঢালধারী ১০ জন এবং মহিলা কনস্টেবল ৪৫ জন। সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন ৪৫ জন।
এখানেই শেষ নয়, পুলিশের ওই সূত্র জানাচ্ছে, এলআইসি মোড় এবং কালেক্টরেট মোড়ের আশেপাশে অনেক সাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন ছিল। পুরো কর্মসূচির ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিস্থিতির খোঁজখবর পৌঁছেছে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে।
এ দিন দীর্ঘক্ষণ এলআইসি মোড় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে নেতা- কর্মীরা আসেন। বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, “মানুষ বিজেপিকে খুঁজছিল। বিজেপিকে খুঁজে পেয়েছে। জঙ্গলমহলের মানুষ দিদিমনির মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন। মুখের মতো জবাব দিয়েছেন। এক সময়ে যারা বলত, মেদিনীপুরে না কি বিজেপিকে দূরবীন দিয়েও দেখা যায় না, তারা আজ যোগ্য জবাব পেয়ে গিয়েছে। জমায়েতই সব জবাব দিয়ে দিয়েছে।”