চাঁদার জুলুম, অবরোধ

শহরের প্রধান রাস্তায় (এটি বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক) সকাল সাতটা থেকে ঘণ্টাখানেক ধরে চলে এই অবরোধ। এর জেরে  যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৫০
Share:

প্রতিবাদ: ট্যাঙ্কার দাঁড় করিয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

চাঁদার জুলুমের প্রতিবাদে রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন দুই তেলের ট্যাঙ্কার চালক। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম শহরের বলরামডিহিতে।

Advertisement

শহরের প্রধান রাস্তায় (এটি বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক) সকাল সাতটা থেকে ঘণ্টাখানেক ধরে চলে এই অবরোধ। এর জেরে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। তেলের ট্যাঙ্কারের চালকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই চালক কোনও অভিযুক্তের নাম দিতে পারেননি। তাই এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তদন্ত চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শিলদার দিক থেকে দু’টি খালি তেলের ট্যাঙ্কার ঝাড়গ্রাম হয়ে বহড়াগোড়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল। শহরের বলরামডিহি এলাকায় মেন রোড দিয়ে যাওয়ার সময় একটি পুজো কমিটির লোকজন ট্যাঙ্কার থামিয়ে এক চালকের কাছে পাঁচশো এক টাকা চাঁদা কাটেন বলে অভিযোগ। ট্যাঙ্কার-চালক ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায় শুরু হয় ঝামেলা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্যাঙ্কার চালকের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় পুজো কমিটির লোকজনের। জখম হন পুজো কমিটির এক যুবক। তাঁর নাক ফেটে রক্ত বেরোয়। অভিযোগ, এরপরই ঢিল ছুড়ে ট্যাঙ্কারের সামনের কাচ ভেঙে দেয় পুজো কমিটির ছেলেরা। দু’টি ট্যাঙ্কার রাজ্য সড়কে আড়াআড়ি দাঁড় করিয়ে অবরোধ করেন দুই চালক। বেগতিক দেখে চাঁদা কমিটির লোকজন চম্পট দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। স্থানীয়রা পুলিশের কাছে নালিশ করেন, এলাকার পুজো কমিটির সদস্যরা রাস্তায় যানবাহন থামিয়ে চাঁদার নামে জবরদস্তি করছেন। শেষ পর্যন্ত সকাল ৮টা নাগাদ পৌঁছন ঝাড়গ্রাম থানার আইসি জয়প্রকাশ পাণ্ডে। তাঁর হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। ট্যাঙ্কার চালক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। ট্যাঙ্কার চালক মুকেশকুমার সিংহ বলেন, ‘‘চাঁদা না দেওয়ায় আমায় রাস্তায় মারধর করা হয়েছে। গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে দিয়েছে পুজো কমিটির সদস্যেরা।’’ ওই পুজো কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন