Dipak Sarkar

প্রয়াত অবিভক্ত মেদিনীপুরের সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক দীপক সরকার, ‘অন্তিমযাত্রা’ সমাপ্ত হবে দেহদানের মধ্য দিয়ে

দলের জেলা নেতৃত্ব সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ০১:৫৮
Share:

দীপক সরকার। —ফাইল চিত্র।

প্রয়াত হলেন প্রবীণ বামপন্থী নেতা দীপক সরকার। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় সিপিএমের জেলা সম্পাদকের পদ সামলেছিলেন তিনি। ছিলেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতেও। এ ছাড়াও সামলেছেন মেদিনীপুর স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ। ট্রেড ইউনিয়ন নেতা হিসাবেও বিশেষ পরিচিতি ছিল তাঁর। সোমবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

Advertisement

মেদিনীপুর শহরের বিধাননগরে নিজের বাসভবনে রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এক কালের ‘দাপুটে’ নেতা তথা মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক। দলের জেলা নেতৃত্ব সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

পরিবার ও দল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলেও ৫ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

Advertisement

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাডেমি তৈরির ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ অবদান ছিল। শহিদ ক্ষুদিরাম পরিকল্পনা ভবন ও বিদ্যাসাগর ইনস্টিটিউট-ও গড়ে উঠেছিল তাঁর প্রচেষ্টায়। নিয়মানুবর্তিতার জন্যও তিনি বিশেষ পরিচিত ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর দায়িত্ব সামলে ২০১৫ সালে জেলা সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী থেকেও পেয়েছিলেন অব্যাহতি।

তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দলের অন্দরে। দল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত জেলার দলীয় কার্যালয়ে তাঁর মরদেহ রাখা হবে। শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন শহর তথা জেলার বাম নেতৃত্ব। আসবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। তার পরে দলীয় কার্যালয় থেকে শহরের রাজপথ দিয়ে গোলকুঁয়াচক, পঞ্চুরচক, ক্ষুদিরাম স্ট্যাচু মোড়, কোরানিতলা হয়ে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই হবে দেহদান। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হতে পারে মেদিনীপুর কলেজেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement