আজ থেকে বিদ্যাসাগরে স্মার্ট ক্যাম্পাস

গোটা চত্বরে ওয়াইফাই, নজরদারি ক্যামেরা, স্মার্ট কার্ডে হাজিরা থেকে স্মার্ট ক্লাসঘর— আধুনিক নানা ব্যবস্থা নিয়ে ‘স্মার্ট ক্যাম্পাস’ চালু হচ্ছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সব ঠিক থাকলে আজ, বুধবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে ‘স্মার্ট ক্যাম্পাস’ হিসেবে ঘোষণা করবেন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী।

Advertisement

বরুণ দে

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৬
Share:

আধুনিক: স্মার্ট কার্ডে হাজিরা এক শিক্ষাকর্মীর। নিজস্ব চিত্র

গোটা চত্বরে ওয়াইফাই, নজরদারি ক্যামেরা, স্মার্ট কার্ডে হাজিরা থেকে স্মার্ট ক্লাসঘর— আধুনিক নানা ব্যবস্থা নিয়ে ‘স্মার্ট ক্যাম্পাস’ চালু হচ্ছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সব ঠিক থাকলে আজ, বুধবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে ‘স্মার্ট ক্যাম্পাস’ হিসেবে ঘোষণা করবেন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক জয়ন্তকিশোর নন্দী-সহ অন্য আধিকারিকদের।

Advertisement

উপাচার্য রঞ্জনবাবু বলছিলেন, “এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ক্যাম্পাসকে সিসিটিভি, ওয়াইফাইয়ের আওতায় আনা হয়েছে। স্মার্ট কার্ড, স্মার্ট ক্লাসরুম, চালু হয়েছে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানালেন, উপাচার্যের উদ্যোগেই স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বছর খানেক আগে। এই সময়ের মধ্যে ইউজিসি-র নির্দেশিকা মেনে একের পর এক কাজ হয়েছে। স্মার্ট ক্যাম্পাসের তকমা দেওয়ার আগে যে সব কাজ করতে হয় তার সবটাই সেরে ফেলা হয়েছে।

স্মার্ট ক্যাম্পাসের তকমা পেতে কী কী শর্তপূরণ করতে হয়?

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে মূলত পাঁচটি মানদণ্ড রয়েছে। ১) পুরো ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই থাকতে হবে। ২) পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকতে হবে। ৩) স্মার্ট ক্লাসরুম অর্থাৎ প্রজেক্টর দিয়ে দৃশ্য-শ্রাব্য মাধ্যমে পড়াশোনার ব্যবস্থা থাকতে হবে। ৪) স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে হাজিরার বন্দোবস্ত চালু করতে হবে। এবং ৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য থাকবে নির্দিষ্ট মোবাইল অ্যাপ। ছাত্রবন্ধু সেই অ্যাপের মাধ্যমেই প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য, নির্দেশিকা সহজে জেনে যাওয়া যাবে।

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে এই সবই চালু হয়েছে। স্মার্ট কার্ডও চালু হয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য। এইকার্ড তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং’-কে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, বেশ কিছু পরিকাঠামো গড়ার ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তা করেছে খড়্গপুর আইআইটি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন:লোকসান বাড়ছে, হুকিং রুখতে আসরে তৃণমূল নেতৃত্ব

উপাচার্য জানাচ্ছেন, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ক্রমতালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৮৭ নম্বরে। সামনের বার দেশের প্রথম ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ার চেষ্টা তাঁরা এখন থেকেই শুরু করে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলছিলেন, “স্মার্ট ক্যাম্পাসে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নও হবে। একেবারে আধুনিক পরিকাঠামোয় ছাত্র-শিক্ষক দু’পক্ষই উপকৃত হবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন