বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় রাজবাড়িতে ঢুকতে পারছেন না বিক্রম

গত মে মাসের গোড়ায় ঝাড়গ্রামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী জনসভায় দর্শক আসনে বসে মোদীর বক্তৃতা শুনেছিলেন বিক্রমাদিত্য মল্লদেব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১০
Share:

দিলীপের সঙ্গে বিক্রম। নিজস্ব চিত্র

বহু খোঁজাখুঁজিতে চাঁদে পাড়ি দেওয়া বিক্রমের হদিস মিলেছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ঝাড়গ্রামের ‘রাজপুত্রে’র অবশ্য ঠাঁই হল না রাজবাড়িতে।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের সদস্য বিক্রম হলেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের নেতা তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেবের ছেলে। রবিবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথা মোড়ে জনসভা করতে এসেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জনসভা সেরে দিলীপ দলীয় বৈঠক করতে যান বিজেপি-র জেলা কার্যালয়ে। সন্ধ্যায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে দি‌লীপের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিক্রম। এরপর তিনি রাজবাড়িতে গেলে দুর্গেশ তাঁকে ঢুকতে দেননি বলে অভিযোগ ‘রাজপুত্রের’। তাই তিনি বিজেপি-র জেলা কার্যালয়ের অতিথিশালায় আশ্রয় নেন। বিক্রম বলেন, ‘‘আমি সৌভাগ্যবান। দিলীপদার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। এখানে যে রকম দুর্নীতি চলছে, আমি তা সাফ করার চেষ্টা করব। তবে আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বাবা রাজবাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না।’’ দুর্গেশ মল্লদেব বলেন, ‘‘বিক্রমকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপি এটা করেছে। বিজেপিই বিক্রমকে আটকে রেখেছে। আমরা ওর জন্য অপেক্ষা করছি।’’

গত মে মাসের গোড়ায় ঝাড়গ্রামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী জনসভায় দর্শক আসনে বসে মোদীর বক্তৃতা শুনেছিলেন বিক্রমাদিত্য মল্লদেব। রাজ পরিবারের অন্দরের খবর, দুর্গেশবাবু জেলা তৃণমূলের নেতা হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজ পরিবারের সদস্যরা শাসকদল ও প্রশাসনের ভূমিকায় খুবই অসন্তুষ্ট। রাজবাড়ির বাইরে পর্যটন উন্নয়ন নিগম পরিচালিত রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সটি তৈরি হয়েছে রাজ পরিবারের দেওয়া জমিতে। মূলত তার লভ্যাংশ নিয়েই অসন্তোষ রয়েছে রাজ পরিবারে। বছর দু’য়েক হল চাকরি ছেড়ে পারিবারিক পর্যটন ব্যবসা সামলাচ্ছেন বিক্রম। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি পরিচালিত ‘দি প্যালেস রিসোর্ট’ সামলান তিনি। মূলত তাঁর চেষ্টায় গত বছর রাজবাড়ির রিসোর্টটি অতুল্য ভারতের সঙ্গে জুড়েছে।

Advertisement

সরাসরি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না বিক্রম। তবে দুর্গেশ এখনও পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সরকার মনোনীত সদস্য। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিরবাহা সরেন বলছেন, ‘‘বিক্রম প্রাপ্তবয়স্ক। নিজের রুচি অনুযায়ী কাজ করেছেন। তাঁর বাবা দুর্গেশ মল্লদেব জেলা তৃণমূলের সম্মানীয় নেতা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন