প্রতীকী ছবি।
প্রায় ৬৯ হাজার ভোটার বাড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরে। বুধবার মেদিনীপুরে কালেক্টরেটের সভাকক্ষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়। ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলার ওসি (ইলেকশন) মনমোহন ভট্টাচার্য প্রমুখ। তালিকা প্রকাশের পরে দেখা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরে গতবারের থেকে এ বার প্রায় ৬৯ হাজার ভোটার বেড়েছে। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “ভোটার সংখ্যা বেড়েছে। মহিলা ভোটারও বেড়েছে। এটা ভাল দিক।” জেলার ওসি (ইলেকশন) মনমোহন ভট্টাচার্যের কথায়, “ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করার সব রকম চেষ্টা হয়েছে।”
বুধবার প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন ভোটার সংখ্যা ৩৬ লক্ষ ১ হাজার ৭৭৮। এর মধ্যে পুরুষ ১৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ২১৬ জন, মহিলা ১৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫২৮ জন এবং অন্যান্য ৩৪জন। গত বছর জেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৪০ (পুরুষ ১৮ লক্ষ ৪ হাজার ২ জন ও মহিলা ১৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৪৩৮ জন, অনান্য ২৫) অর্থাৎ গতবারের থেকে ভোটার বেড়েছে ৬৯ হাজার ৩৩৮জন। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন প্রতি ১ হাজার পুরুষ ভোটার পিছু মহিলা ভোটার রয়েছে ৯৬২।
প্রতি বছরই ভোটার-তালিকা সংশোধনের কাজ হয়। গোড়ায় খসড়া ভোটার-তালিকা প্রকাশিত হয়। তারপর নতুন নাম তোলার আবেদন জমা পড়ে। খসড়া-তালিকা নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তাও জমা পড়ে। পরে সব দিক খতিয়ে দেখে জানুয়ারিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সাধারণত সেপ্টেম্বরে শুরু হয়।
জেলা প্রশাসনের ওই সূত্রে খবর, এ বার নতুন করে নাম নথিভুক্ত হয়েছে ৯২ হাজার ২৩৩ জনের। এর মধ্যে পুরুষ ৪১ হাজার ৫৪৭, মহিলা ৫০ হাজার ৫৭১। আগের তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে ২২ হাজার ৯২০ জনের। এর মমধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৪৮২ জন, মহিলা ১৩ হাজার ৪৩৭ জন। পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে ১৫টি। বুথের সংখ্যা ৪ হাজার ২৫৫। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল, পুরোমাত্রায় নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা। সেই কাজই হয়েছে।” তাঁর কথায়, “আগের বছরও জেলায় প্রতি ১ হাজার পুরুষ ভোটার পিছু মহিলা ভোটার ছিল ৯৬০ জন। এখন তা বেড়ে ৯৬২ হয়েছে।”
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর হয়ে গিয়েছে, তাদের সকলের নাম ভোটার তালিকায় উঠুক, এমনটাই চাইছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “আশা করব, ভোটার তালিকায় নাম তোলায় উত্সাহ আরও বাড়বে। সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা সকলকেই বুঝতে হবে।”