তালাবন্ধ: চালু হওয়ার অপেক্ষায় জলপ্রকল্প। নিজস্ব চিত্র
পাইপ লাইনে বাসিন্দাদের কাছে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে দু’টি পাম্পহাউস-সহ জল প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে প্রায় এক বছর আগে। কিন্তু অভিযোগ, এত দিন পরেও সেই প্রকল্পের জল পান না নন্দকুমারের কোলসর এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, পানীয় জলের জন্য এলাকায় এখনও নলকূপ বা সাব মার্সিবলের উপরেই ভরসা করতে হচ্ছে। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, কর্মী নিয়োগ না হওয়ায় চালু করা যাচ্ছে না জল প্রকল্প।
পঞ্চায়েত সমিতি এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের কোলসর গ্রামের বাসিন্দাদের পাইপের মাধ্যমে পরিস্রুত জল সরবরাহের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। এ জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর প্রায় এক কোটি টাকার খরচ করে কোলসর গ্রামে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের পাশে একটি এবং সংলগ্ন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আরেকটি পাম্প হাউস তৈরি করে। গ্রামের সর্বত্র পাইপ লাইনও পাতা হয়। তৈরির পরে পাম্প চালানোর জন্য ইতিমদ্যেই বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত কাণ্ডের পরেও অভিযোগ, জল পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় এক বছর আগেই জল প্রকল্পের সমস্ত কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও পাম্প হাউস দু’টি তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত-প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি তাঁদের।
গ্রামের এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘জল সরবরাহ চালু না হওয়ায় পুরনো আমলের নলকূপের উপরে প্রায় দুই হাজার বাসিন্দা ভরসা করে রয়েছেন।’’ অভিযোগ, গ্রামে কয়েকটি পাড়ায় সাব মার্সিবল পাম্প বসানো হলেও সেগুলির চালানোর বিদ্যুতের খরচ বাসিন্দাদের দিতেই হয়। তাই গ্রামের বাসিন্দারা দাবি করেছেন, নতুন গড়ে তোলা জল প্রকল্পগুলি দ্রুত চালু করতে হবে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ মেনে নিয়ে নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীননাথ দাস বলেন, ‘‘কোলসর এলাকায় জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প পরিচালনার দ্বায়িত্ব থাকবে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে। পাম্প চালাতে দু’জন কর্মী নিয়োগের জন্য জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় প্রকল্প চালু করা যায়নি। কর্মী নিযুক্ত হলেই জল সরবরাহ চালু করা হবে।’’
জেলা পরিষদের জন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কর্মী নিয়োগ করে ওই জল প্রকল্প চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’