দেওয়া হচ্ছে ধোঁয়া নিজস্ব চিত্র।
ডেঙ্গির প্রভাব ঠেকাতে উদ্যোগী হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেঙ্গি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এরপরই নড়ে বসেছে প্রশাসন। বুধবার গড়বেতা-৩ ব্লকের নবকলা ও ম্যাটাডহর গ্রামে কীটনাশক যুক্ত মশারি বিলি করল স্বাস্থ্য দফতর। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “এমনিতেই প্রতি হাসপাতালে রোগীদের মশারি ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে বাড়িতেও যাতে সাধারণ মানুষ মশারি ব্যবহার করেন-তার জন্য প্রচার শুরু হয়েছে। জেলার যে দু’টি গ্রামে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে, সেখানে সরকারি ভাবে মশারিও বিলি করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলিকেও এই কর্মসূচিতে সামিল করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গড়বেতা-৩ ব্লকের দু’টি গ্রামে ১১জনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকেও মশাবাহিত রোগের খবর আসছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পাড়ায় জমা জল দেখলেই সরকারি যে কোনও দফতর বা পঞ্চায়েত ও পুরসভায় জানানোর আবেদন করা হয়েছে। স্প্রে করা হচ্ছে ম্যালথিয়ন তেলও। বুধবার জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের নেতৃত্বে দশ জনের একটি দল নবকলা গ্রামে যায়। সেখানে এক হাজার মশারি বিলির পাশাপাশি মশা মারার তেলও স্প্রে করা হয়।অন্য দিকে প্রচার ও সচেতনতার পাশাপাশি এবার জেলার বেসরকারি ক্লিনিক ও নার্সিংহোম মালিকদেরও কড়া নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরার দাবি, “যে কোনও নার্সিংহোমে জ্বর নিয়ে রোগী ভর্তি হলেই স্বাস্থ্য দফতরে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ এই নির্দেশ না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”