West Bengal Lockdown

হাতির দাঁত চুরি

জামবনির রেঞ্জ অফিসার গোপালকুমার ঘোষের নেতৃত্বে বনকর্মীরা গিয়ে লরিতে করে হাতিটির দেহ নিয়ে আসেন জামবনি রেঞ্জ অফিসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামবনি শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০০:৫৭
Share:

কেটে নেওয়া হয়েছে মৃত হাতির দাঁত। সোমবার জামবনির বাকড়ার জঙ্গলে। নিজস্ব চিত্র

‌লকডাউনের মধ্যে পূর্ণবয়স্ক মৃত হাতির দু’টি দাঁত চুরির ঘটনা ঘটল। ঝাড়খণ্ডের সীমানা লাগোয়া ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি বনাঞ্চলের এক জঙ্গলের ঘটনা। সোমবার সকালে জামবনির বাকড়া গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে পূর্ণবয়স্ক মৃত পুরুষ হাতিটিকে দেখতে পেয়ে বন দফতরে খবর দেন বাসিন্দারা। জামবনির রেঞ্জ অফিসার গোপালকুমার ঘোষের নেতৃত্বে বনকর্মীরা গিয়ে লরিতে করে হাতিটির দেহ নিয়ে আসেন জামবনি রেঞ্জ অফিসে। তার আগে গ্রামবাসীদের একাংশ মৃত হাতিটিকে সিঁদুর পরিয়ে, ধূপ জ্বালিয়ে চিরাচরিত প্রথায় দেবতা হিসেবে পুজোও করেন।

Advertisement

রেঞ্জ অফিসে ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হলেইচ্চির উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে দেহটি দাহ করা হয় রেঞ্জ অফিস চত্বরে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ণবয়স্ক পুরুষ হাতিটির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। দু’টি দাঁত কেউ ভেঙে নিয়েছিল। ময়নাতদন্তকারী প্রাণিচিকিৎসক চঞ্চল দত্ত বলেন, ‘‘অসংখ্য আঘাতের কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পরে দাঁত দু’টি কেউ ভেঙে নিয়ে গিয়েছে। কারণ দাঁতের জায়গায় কোনও রক্তক্ষরণের চিহ্ন নেই। দন্তগহ্বর দেখে অনুমান, দাঁত দু’টি বেশি বড়ও ছিল না।’’

ঝাড়গ্রাম জেলায় গত তিন বছরে নানা কারণে ১৪টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃত হাতির দাঁত চুরির ঘটনা ঘটেনি। তবে বন দফতর জানিয়েছে, কিছুদিন আগে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর বন বিভাগের এলাকায় দু’টি পুরুষ হাতির মধ্যে লড়াইয়ে একটি হাতি গুরুতর জখম হয়ে ঝাড়গ্রামে পালিয়ে এসেছিল। হাতিটির খোঁজে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিল জামশেদপুর বন বিভাগ। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হলেইচ্চি বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের জখম হওয়া হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বাকড়ার জঙ্গলে। মৃত হাতির দাঁত খোয়া যাওয়ার ব্যাপারে এফআইআর করা হচ্ছে। ’’ বন দফতর সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে আরও দশটি হাতির দল জামবনি রেঞ্জ এলাকায় এসেছে।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন