সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ এসএফআইয়ের জেলা সম্মেলনে

শেষ হল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের ৩৩তম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন। শনিবার দাসপুরের চাঁইপাট সংলগ্ন ফরিদপুরে সম্মেলনের সূচনা করেছিলেন সংগঠনের সবর্ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:৪২
Share:

সম্মেলনের শেয দিনে। ফরিদপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

শেষ হল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের ৩৩তম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন।

Advertisement

শনিবার দাসপুরের চাঁইপাট সংলগ্ন ফরিদপুরে সম্মেলনের সূচনা করেছিলেন সংগঠনের সবর্ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাতে ফরিদপুর নতুন জেলা কমিটি গঠনের মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী মধুজা সেনরায়। সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত আগে থেকেই ছিল। পাশাপশি রাজ্যে এই অস্থির পরিস্থিতিতে জেলায় সংগঠনকে আরও মজবুত করতে জেলা কমিটিতে একাধিক নতুন সদস্য স্থান পেয়েছেন। এ বারের সম্মেলনের মূল স্লোগান সংগঠনের সদস্য বাড়ানো এবং নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষিত করে তোলা।

সংগঠন সূত্রের খবর ,দু’দিনের এই সম্মেলনে জেলা থেকে মোট ২৫০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। গোপন বৈঠকে সংগঠনকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি নতুন সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়। সঙ্গে শুধু কলেজেই নয়, স্কুল স্তরেও সংগঠনের ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। চন্দ্রকোনা, গোয়ালতোড়, চন্দ্রকোনা রোড, গড়বেতা-সহ জেলার একাধিক এলাকায় সংগঠনের মান কমে যাওয়া তথা সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ার কারণ নিয়ে আলোচনা এবং কী ভাবে ওই সব এলাকায় সংগঠনকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়-তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, জেলার প্রতি কলেজে সংগঠনের নানা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পাশাপশি কলেজ ইউনিট গুলিকে আরও শক্ত হাতে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয় নেতৃত্বদের।

Advertisement

এসএফআইয়ের ৩৩ তম জেলা সম্মেলনের শেষ দিনে শিক্ষাক্ষেত্রে যে অগণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে-তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে লড়াই করা এবং শিক্ষান্তে চাকরি-সহ সংগঠনের মূল বার্তা যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছায় তার ছক কষা হয়। তার জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে সংগঠনের ভূমিকা কী হওয়া উচিত-তা স্মরণ করিয়ে দেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক দেবজ্যোতি দাস।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংগঠনের এক সদস্যের কথায়, “সংগঠনের সদস্য বাড়লেও সব জোনে সমান ভাবে বাড়েনি। বহু নেতৃত্ব শাসক দলের চোখ রাঙানি-সহ নানা অজুহাত দিয়ে সংগঠনের রাশ ছেড়ে দিয়েছেন। পদে থেকেও নিজেদের ব্যক্তিগত বা যে কোনও কারণে সংগঠনে ঢিলেমি দেওয়ায় তাঁদের পদ ছেড়ে দেওয়ার মতো কেন এমন ঘটনা ঘটছে-তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব বেশ কিছু নেতৃত্বকে সতর্কও করে দিয়েছেন।”

ওই সদস্যের কথায়, “ আমাদের একাধি‌ক কলেজে ভাল সদস্য ও সমর্থন রয়েছে। ভোট ঠিকঠাক ভাবে হলে ছাত্র সংসদ দখলও করা কঠিন নয়। তাই ওই সব কলেজ গুলিতেই বেশি করে সংগঠনের নানা কর্মসূচি নেওয়ার পাশাপশি যাতে নিবার্চনে ভোট হয় তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন