খড়্গপুর রেল হাসপাতালে কে শ্রীনু। নিজস্ব চিত্র
দিনেদুপুরে রেলশহরের রাস্তায় ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হলেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুরের অরোরা গেট সংলগ্ন এলাকায়।
এ দিন বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন ওল্ড সেটলমেন্ট এলাকার বাসিন্দা কে ভি লক্ষ্মীকান্ত ওরফে শ্রীনু। অভিযোগ, সেই সময় এক যুবক এসে তাঁর উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। শ্রীনুর গলায়, ঘাড়ে ও মাথায় ধারাল অস্ত্রের কোপ মারা হয়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। জখম ওই যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় খড়্গপুর রেল হাসপাতালে। সেখান ওই যুবককে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি গিরিময়দান স্টেশনের অদূরে চলা একটি মদের ঠেক নিয়ে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে গোলমাল বাধে ওই মদ দোকানির। অভিযোগ, ওই যুবকেরা শ্রীনুর বন্ধু হওয়ায় মদ দোকানি শ্রীনুর দ্বারস্থ হয়। ঘটনাটি নিয়ে পরে নিজেদের মধ্যেই গোলমালে জড়িয়ে যায় শ্রীনু ও বন্ধুরা। এর পরেই এ দিনের ঘটনা। শ্রীনুর মামাতো ভাই সন্তোষ কুমারের দাবি, “মাস তিনেক আগে মদের দোকান নিয়ে ওদের বন্ধুদের মধ্যে গোলমাল হয়েছিল। সেই গোলমালকে কেন্দ্র করেই মনে হয় বুধবার রাতেও বানু নামে একটি যুবকের সঙ্গে ভাইয়ের গোলমাল হয়। তখন ভাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। মনে হচ্ছে এই ঘটনা তারই জের।”
ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। নিজের ওয়ার্ডে যুবকের ওপর এমন হামলার ঘটনার পরেই রেল হাসপাতালে গিয়েছিলনে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। তিনি বলেন, “আমার ওয়ার্ডের এই ছেলেটি অত্যন্ত ভাল। ওদের বন্ধুদের মধ্যে কোনও গোলমাল হয়েছিল। তার জেরে এই ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। তবে দিনেদুপুরে এমন ঘটনা ভয়ঙ্কর।” যদিও এ নিয়ে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। নিজেদের মধ্যে গোলমাল থেকে এই ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। আমরা শীঘ্রই এই ঘটনার কিনারা করব।”