অনিয়মের নালিশ কেন, শো-কজ বিজেপির দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে

একশো দিনের কাজ নিয়ে নালিশ জানানোয় দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে শো-কজ করলেন পঞ্চায়েত প্রধান। ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে তিন দিনের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতে লিখিত বিবৃতি-সহ নালিশ জানানোর কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত পিংলার কুসুমদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। কেন এ ভাবে দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে শো-কজ করা হল?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৪৭
Share:

একশো দিনের কাজ নিয়ে নালিশ জানানোয় দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে শো-কজ করলেন পঞ্চায়েত প্রধান। ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে তিন দিনের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতে লিখিত বিবৃতি-সহ নালিশ জানানোর কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত পিংলার কুসুমদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। কেন এ ভাবে দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে শো-কজ করা হল? কুসুমদার তৃণমূল প্রধান গীতারানি খাঁড়া বলেন, “এটা ঠিক শো-কজ নয়। ওই দু’জন মিথ্যে অভিযোগ করেছেন। কেন এ ভাবে মিথ্যে অভিযোগ করলেন, লিখিত ভাবে তাই জানাতে বলা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই পঞ্চায়েত প্রধান এই পদক্ষেপ করেছেন।

Advertisement

অন্য দিকে, যে দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে লিখিত বিবৃতি-সহ নালিশ জানানোর কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা মাস কয়েক আগেই বিজেপিতে যোগ দেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁরা নির্দল হিসেবেই জেতেন। তাঁদের এক জন মুণ্ডুমারির জয়দেব গায়েন। অন্য জন, বীরসিংহপুরের লক্ষ্মী হেমরম। অভিযোগ, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁদের নানা ভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা বা পরামর্শ না করেই এলাকায় নানা কাজ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার মেদিনীপুরে এসে বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন জয়দেববাবু এবং লক্ষ্মীদেবী। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ওই পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক কী করণীয়, তুষারবাবুর কাছে তাও জানতে চান তাঁরা। বিজেপির জেলা সভাপতি ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন। জয়দেববাবুদের সঙ্গে ছিলেন পিংলার বিজেপি নেতা গৌর ঘোড়ইও। গৌরবাবুও আগে তৃণমূল করতেন। পরে বিজেপিতে যোগ দেন।

গত অগস্ট মাসে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে বিডিওকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। নেতৃত্বে ছিলেন লক্ষ্মীদেবীরাই। গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, অনিয়মের অভিযোগ মিথ্যে। প্রকল্পের কাজ সঠিক ভাবেই হয়েছে। ওই অভিযোগের ফলে গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্য সকল সদস্যের সম্মানহানি হয়েছে। এ দিন জয়দেববাবু বলেন, “আমি দুর্নীতিরই প্রতিবাদ করেছি। আগামী দিনেও করব।” একই বক্তব্য লক্ষ্মীদেবীরও। অন্য দিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি তুষারবাবু বলেন, “এখন বিরোধী সদস্যদের তৃণমূলের লোকজন নানা ভাবে হেনস্থা করছে। জোড়জুলুম চালাচ্ছে। পিংলার কুসুমদাতেও তাই হচ্ছে। কাজের ক্ষেত্রে ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্যের কোনও মতামতই নেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি যেখানে জানানোর আমরা সেখানে জানাচ্ছি। এই পরিস্থিতি বেশি দিন চলতে পারে না।” জানা গিয়েছে, শো-কজের জবাবে দিন কয়েকের মধ্যেই নিজেদের বক্তব্য লিখিত ভাবে পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়ে দেবেন জয়দেববাবুরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন