তাজপুরের পর মন্দারমণি

অবৈধ নির্মাণ ভাঙার উদ্যোগ

তাজপুরের পর এ বার মন্দারমণি। উপকূল আইনের তোয়াক্কা না করে মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে গজিয়ে উঠা বেআইনি হোটেল-লজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্যের নির্দেশে রামনগর ২ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক প্রীতম সাহা সম্প্রতি মন্দারমণিতে বেআইনি হোটেল-লজগুলিকে চিহ্নিতকরণের জন্য নোটিস পাঠিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদতা

মন্দারমণি শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৪ ০০:২৪
Share:

তাজপুরের পর এ বার মন্দারমণি।

Advertisement

উপকূল আইনের তোয়াক্কা না করে মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে গজিয়ে উঠা বেআইনি হোটেল-লজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্যের নির্দেশে রামনগর ২ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক প্রীতম সাহা সম্প্রতি মন্দারমণিতে বেআইনি হোটেল-লজগুলিকে চিহ্নিতকরণের জন্য নোটিস পাঠিয়েছিলেন। হোটেল-লজ তৈরির প্রামাণ্য কাগজ নিয়ে এই মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্লক প্রশাসন দফতরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

প্রীতমবাবু বলেন, “যে সব হোটেল-লজের প্রয়োজনীয় কাগজ থাকবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

২০১২ সালের জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় সৈকত উৎসবের উদ্বোধন করতে এসে মন্দারমণি সৈকত এলাকা পরিদর্শন করেন। তখনই সৈকতের ধারে হোটেল-লজের ভিড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মন্দারমণিকে দিঘা-শঙ্করপুর পর্ষদের এলাকাভুক্ত করার নির্দেশের পাশাপাশি সেখানে বেআইনি নির্মাণ বন্ধেরও নির্দেশ দেন তিনি।

এর পরও দু’বছর কেটেছে। তবুও মাথা তোলা বন্ধ হয়নি বেআইনি হোটেলের। দিঘা শঙ্কপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সুজন দত্ত জানান, মন্দারমণিতে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, মন্দারমণিতে ইতিমধ্যে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে রামনগর থানার পক্ষ থেকে গোটা পঞ্চাশেক মামলা দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন