পরিজনদের সঙ্গে মেহেদি (মাঝে)। ছবি: আরিফ ইকবাল খান।
প্রশাসনের তৎপরতায় অবশেষে হলদিয়ার ব্রজলালচকের মেহেদির পুরো পরিচয় মিলল। শুক্রবারই সে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের বাড়িতে পৌঁছেছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সাত-আট মাস আগে কে বা কারা রাতের অন্ধকারে বছর বাইশের আংশিক ভারসাম্যহীন মেহেদিকে ব্রজলালচক বাস স্টপে নামিয়ে দিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায়। এরপর থেকে স্থানীয় কিছু মানুষ এবং ছোট ব্যবসায়ীরা ওই যুবকের দেখভাল করছিলেন। একটু সুস্থ হয়ে তার নাম মেহেদি বলে জানায়। বাড়ি কোথায়, বহু চেষ্টায় সে জানায়, ‘তিনবিঘায়’। মেহেদির ঘরে ফেরার ইচ্ছের কথা জানিয়ে আনন্দবাজারে ছবি-সহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরপরই তৎপর হয় হলদিয়া মহকুমা প্রশাসন। তিন বিঘা, এই এলাকাটি কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে। তা জেনে সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এগিয়ে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরে খোঁজ মেলে মেহেদির পরিবারের। দুই কাকা শেখ জামিরুদ্দিন এবং শেখ জব্বর আলি এক আত্মীয়ের সঙ্গে হলদিয়ায় এসে মেহেদিকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়।
কী ভাবে হলদিয়া এল মেহেদি?
তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত বছর বয়সে বাবাকে ছেড়ে মা দ্বিতীয় বিয়ে করে শিলিগুড়ি চলে যান। এর কিছু দিনের মধ্যেই মারা যায় তার মা। তারপর থেকেই প্রায় চোদ্দ বছর নিখোঁজ ছিল মেহেদি। এত কিছুর পরে যাঁর প্রশাসনিক উদ্যোগে মেহেদির ঘরে ফেরা, সেই মহকুমাশাসক শঙ্কর নস্কর বলেন, “ওকে ঘরে ফেরাতে পেরে আমি খুশি।” এত দিন স্থানীয়েরাই দেখভাল করছিলেন মেহেদিকে। অত্যন্ত কাছের হয়ে গিয়েছিল ছেলেটি। কান্নাভেজা গলায় তাঁরা বৃহস্পতিবার পরিবারের হাতে মেহেদিকে।