আলাদা হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্ট চায় না সিটু

কলকাতা বন্দর থেকে হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সকে পৃথক করে হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্ট গঠনের যে ডাক দিয়েছেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, বন্দরের স্বার্থে তাতে সমর্থন নেই সিটু অনুমোদিত বন্দর শ্রমিক সংগঠন ‘কলকাতা পোর্ট অ্যান্ড শোর মজদুর ইউনিয়ান’-এর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৪ ০০:২১
Share:

কলকাতা বন্দর থেকে হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সকে পৃথক করে হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্ট গঠনের যে ডাক দিয়েছেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, বন্দরের স্বার্থে তাতে সমর্থন নেই সিটু অনুমোদিত বন্দর শ্রমিক সংগঠন ‘কলকাতা পোর্ট অ্যান্ড শোর মজদুর ইউনিয়ান’-এর। কলকাতা বন্দরের অছি পরিষদের সদস্য তথা ওই শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরকার বলেন, “হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স কলকাতা বন্দরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। পৃথক হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্ট হলে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর দু’টোই কার্যক্ষমতা হারাবে। রাজ্যের শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে।” প্রবীরের মত, যাঁরা বন্দর শিল্প বোঝেন তারা কখনও ওই আন্দোলনে সামিল হবে না।

Advertisement

বুধবার হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক ভবন জহর টাওয়ারে একগুচ্ছ দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেয় ওই শ্রমিক সংগঠন। বন্দর সূত্রে খবর, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পণ্যখালাসকারী সংস্থা এবিজি গোষ্ঠী চলে যাওয়ার পরে হলদিয়ার ২ ও ৮ নম্বর বার্থে বিনা টেন্ডারে অন্য একটি সংস্থা পণ্য খালাসের কাজ করছে। বন্দরের স্বার্থে ওই দুটি বার্থে দ্রুত দরপত্র দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সংগঠনের ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি বিমান মিস্ত্রি বলেন, “এবিজি থাকার সময়ে ওই দু’টি বার্থ থেকে বছরে একশো কোটি টাকা আয় হত বন্দরের। ওই টাকায় বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়ে যেত। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে দরপত্র দেওয়ার কাজে ঢিলেমি হচ্ছে।”

অভিযোগ, গত বছরের ২৫ অক্টোবর বন্দরের শ্রমিকদের নতুন বেতন চুক্তি হলেও আজ পর্যন্ত তা কার্যকর করা হয়নি। মেটানো হচ্ছে না অন্য পাওনাও। ‘সমকাজে সমবেতন’ চালু করার দাবিও তুলেছেন তাঁরা। শ্রমিক নেতৃত্বের আরও অভিযোগ, বন্দরে কর্মী ও আধিকারিক মিলিয়ে প্রায় সাতশোটি শূন্যপদ থাকলেও সেই পদগুলিতে স্থায়ী ভাবে নিয়োগ না করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হচ্ছে। বিমানবাবু বলেন, “বন্দরের নানা ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতি চলছে। এ বিষয়ে কেন্দ্র সরকার, সিবিআই ও সংশ্লিষ্ট নানা দফতরে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ না হলে বন্দরকে বাঁচানো যাবে না।”

Advertisement

এ দিন তাঁরা স্মারকলিপি দেন হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের ম্যানেজার (পারসোনাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশানশিপ) হিমাদ্রিশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি অভিযোগগুলি নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন