শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। — ফাইল চিত্র।
বিভ্রান্তি রয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) শুনানি প্রক্রিয়ায়! এমনই অভিযোগ তুললেন খোদ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শিলিগুড়ির বিধায়কের দাবি, সঠিক নথি থাকা সত্ত্বেও, তা গ্রহণ করা হচ্ছিল না। এমন নানা অভিযোগ জমা পড়ছে তাঁর কাছে। সেই সব অভিযোগ নিয়ে তিনি হাজির হয়েছিলেন শিলিগুড়ির মহকুমাশাসকের অফিসে! এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
সোমবার সকালে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর মহকুমাশাসকের অফিসে যান। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্য নেতারাও। শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক এবং নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে নথি সংক্রান্ত বিভ্রান্তি নিয়ে অভিযোগ জমা করেন শঙ্কর। তাঁর দাবি, ‘‘এসআইআরের শুনানি চলাকালীন সাধারণ মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ছে। শুধু তা-ই নয়, নথি সংক্রান্ত জটিলতা, শুনানির তারিখ এবং পদ্ধতি নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। সেই সব অভিযোগই নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।’’ পাশাপাশি শঙ্কর এ-ও জানান, শুনানিকেন্দ্রে যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়েও প্রশাসনের দৃষ্টিআকর্ষণ করা হয়েছে।
মহকুমাশাসকের দফতর থেকে বেরিয়ে শঙ্কর বলেন, ‘‘আমাদের বিভিন্ন রকম জিজ্ঞাস্য ছিল। আমাদের হেল্পডেস্কে একাধিক প্রশ্ন জমা পড়েছে। আমার মনে হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুনানি সংক্রান্ত বিষয়টি আরও স্বচ্ছতার জায়গায় আসবে। সঠিক নথি থাকা সত্ত্বেও সেই নথিগুলিকে গ্রাহ্য করা হচ্ছিল না৷ সেই বিষয়ে আমরা অভিযোগ জানালাম।’’
শুনানি নিয়ে শঙ্করদের অভিযোগ তোলাকে কটাক্ষ করেছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তাঁর কথায়, ‘‘জনভিত্তি আর জনসমর্থন না-থাকলে এই ধরনের কথা বলে। প্রথম দিন থেকেই বলছিলাম, এসআইআরের মাধ্যমে মানুষকে সমস্যার মুখে ফেলা হচ্ছে। আমাদের কাছে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। শঙ্করবাবুদের এখন বিলম্বে বোধোদয় হচ্ছে। এত দিন তো তাঁরাই এসআইআর নিয়ে জয়ডঙ্কা বাজিয়ে চলছিলেন।’’