একশো দিনের কাজ থেকে ইন্দিরা আবাস যোজনা, উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্পে পিছিয়ে পড়ছে ব্লক। এ নিয়ে জেলাশাসক থেকে শুরু করে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ত্সনার মুখে পড়তে হয়েছে ব্লক প্রশাসনকে। তাই উন্নয়নের কাজে গতি আনতে বৈঠক হল সবংয়ে। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাগৃহে ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা। ছিলেন বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, বিডিও বিকাশ মজুমদার, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সবংয়ের তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি-সহ আরও দুই জেলা পরিষদ সদস্য ও সব গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানেরা। ইন্দিরা আবাস, গীতাঞ্জলি, অধিকার, একশো দিনের কাজ নিয়েই এ দিন আলোচনা হয়।
কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানরা উন্নয়নের কাজে কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যদের মতামত নিচ্ছেন না। বিষ্ণুপুর ও বলপাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কংগ্রেস সদস্যদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয় এ দিনের বৈঠকে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা বলেন, “অনেক ব্লকের থেকেই আমরা উন্নয়নের কাজে এগিয়ে। কিছু ত্রুটির কারণে আমরা হয়তো পিছিয়ে ছিলাম। সমস্যা এখন অনেকটা কাটিয়ে উঠেছি। যাতে আরও ভাল কাজ হয় এবং সব পঞ্চায়েত সদস্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয় সেই নির্দেশ বৈঠকে দেওয়া হয়েছে।”
বিধায়কের পদাধিকার বলে মানস ভুঁইয়া জেলা পরিষদের সাধারণসভার সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তিনমাস অন্তর হওয়া সাধারণসভার বৈঠকে ডাক পান না বলে এ দিন অভিযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় এলেও তাঁকে ডাকা হয় না বলেও অভিযোগ। মানসবাবুর কথায়, “কংগ্রেস প্রধানদের জিজ্ঞেস করেছি। কিন্তু তাঁরা তৃণমূলের কোনও সদস্যকে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা মানতে চাননি। তবে তৃণমূল প্রধানেরা বিশেষত দু’টি পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়নের কাজে আমাদের সদস্যদের হস্তক্ষেপ করতে দিচ্ছেন না।” তবে মানসবাবু মানছেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। যদিও তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য অমূল্য মাইতি বলেন, “আমাদের প্রধানেরা বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যদের গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে যে অভিযোগ কংগ্রেস করছে, তা ঠিক নয়।” মানসবাবু কেন জেলা পরিষদের সাধারণ সভার চিঠি পাননি, তা দেখবেন বলে জানান অমূল্যবাবু।