উৎসবের ঢাকে কাঠি মহালয়ায়

সোমবার ছিল মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল শহর মেদিনীপুরে। হল কবিতা পাঠ, নাচ-গান। ইতিমধ্যে প্রাক্-দুর্গোত্‌সবে মেতেছে মেদিনীপুর। মহালয়ার এই সব অনুষ্ঠান উত্‌সবের আবহকে আরও রঙিন করে দিল। এ দিন বিভিন্ন জায়গায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাও হয়। যোগ দেয় কচিকাঁচারা। মেদিনীপুর লেখক শিল্পী সমন্বয় মঞ্চের উদ্যোগে এ দিন সাহিত্য আড্ডা বসেছিল জেলা পরিষদ লাউঞ্জে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৫ ০১:১৯
Share:

মেদিনীপুরে স্বরলিপি-র বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র।

সোমবার ছিল মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল শহর মেদিনীপুরে। হল কবিতা পাঠ, নাচ-গান। ইতিমধ্যে প্রাক্-দুর্গোত্‌সবে মেতেছে মেদিনীপুর। মহালয়ার এই সব অনুষ্ঠান উত্‌সবের আবহকে আরও রঙিন করে দিল। এ দিন বিভিন্ন জায়গায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাও হয়। যোগ দেয় কচিকাঁচারা।
মেদিনীপুর লেখক শিল্পী সমন্বয় মঞ্চের উদ্যোগে এ দিন সাহিত্য আড্ডা বসেছিল জেলা পরিষদ লাউঞ্জে। সেখানে স্মরণ করা হয় ‘অমৃতলোক’ পত্রিকার প্রয়াত সমীরণ মজুমদার ও কবি-প্রাবন্ধিক-সম্পাদক শচীদুলাল বিশ্বাসকে। ছিল কবিতা পাঠ, পত্রিকা প্রকাশ, নাচ, গান। মঞ্চের পক্ষে অমিত পণ্ডিত ও স্বর্ণেন্দু সেনগুপ্ত জানান, প্রতি বছর মহালয়ার দিনে এই সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করা হয়। এর জন্য বছরভর অপেক্ষা চলে।
এ দিন আবার ‘আই ফেস্ট’-এর আয়োজন করা হয়েছিল শহরের ফিল্ম সোসাইটি হলে। ‘আই সোসাইটি’ নামে এক সংস্থার উদ্যোগে কবিতা পাঠ, কবিতা বিষয়ক আলোচনা, হ্যাম রেডিও বিষয়ক আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে শারদ সংকলন প্রকাশ, অন্য পত্রিকা ও বইপ্রকাশও হয়। উদ্যোক্তাদের পক্ষে সৌমিত্র রায় ও বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, সাইবার প্রযুক্তির সঙ্গে সাহিত্যের মেলবন্ধন ঘটাতেই এই অনুষ্ঠান। সৌমিত্র বলেন, “এই যুগ আই-যুগ। আই-যুগের নতুন নতুন দিকচিহ্ন নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে সাহিত্য। তথ্যপ্রযুক্তি ধারণায় উদ্ভাবনী চিন্তাচেতনা বাড়ছে। তাই অনুষ্ঠানের নাম রেখেছি ‘আই ফেস্ট’।’’
সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘স্বরলিপি’র ৩৬ তম বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় এ দিন। মেদিনীপুর শহরের প্রদ্যোত্‌ স্মৃতি সদনে ‘স্বরলিপি সম্মান ২০১৫’ প্রদান করা হয় গৌতম ঘোষাল এবং স্নিগ্ধা পালকে। স্বরলিপির স্মরণিকা প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি, নিভা ঘোষের কবিতার বই ‘রামধনু ঢাকা ছিল মেঘে’ও প্রকাশিত হয়। নিভাদেবী সরকারি কর্মচারী। ভালবাসার টানেই কবিতা লেখেন। এটাই তাঁর প্রথম কবিতার বই। শিশু সংগঠন বঙ্কিম স্মৃতি সবপেয়েছির আসরের উদ্যোগে দেবীপক্ষের সূচনার দিনে আয়োজন করা হয় এক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার। ৩৫তম বর্ষে বসে আঁকো, আবৃত্তি, নৃত্য, সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন ছিল। আসরের যুগ্ম সংঘমিত্র সাধন দে ও নিখিল দাস বলেন, “প্রতি বছরই এই দিনে আমরা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করি।’’ উদ্যোক্তাদের মতে, শরতের মাধুর্য্যতা মানব মনে সৃষ্টি করে আনন্দের আবেশ। শিউলির সুগন্ধ, কাশের শুভ্রতা, আর নীল আকাশে রৌদ্র মেঘের লুকোচুরি রচনা করে আগমনীর পটভূমি। উন্মুখ ধরাবাসী মায়ের আহ্বানে যখন ব্যাকুল, তখন নতুন প্রজন্মের মধ্যে উদার সংস্কৃতি চেতনার কিরণ ছড়িয়ে দিতেই তাঁদের এই উদ্যোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন