মন্দিরের দরজা ভেঙে রাধাকৃষ্ণের সোনা ও রুপোর গয়না চুরি করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রকোনা থানার ক্ষীরপাই শহরের কাশিগঞ্জের ঘটনা। শুক্রবার সকালে মন্দিরের দরজা ভাঙা দেখে সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। তারা মন্দিরের ভিতরে ঢুকে দেখেন রাধাকৃষ্ণের গয়না চুরি গিয়েছে। তৃণমূলের ক্ষীরপাই ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি চিত্ত পাল দাবি করেন, “মন্দির থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরি গিয়েছে।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “ক্ষীরপাই শহরে চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের সাতদিনের মধ্যে গ্রেফতার করার আশ্বাস দিয়েছে। তা না হলে সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নামবে।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত দেড় মাসে ক্ষীরপাই শহরে দোকান, বাড়ি মিলিয়ে প্রায় ২০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি ক্ষীরপাই শহরের শ্যামলগঞ্জের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক পলাশ সিংহরায়ের বাড়ির দরজার তালা ভেঙে সোনার গহনা-সহ আসবাবপত্র চুরি হয়। সেই সময় পলাশবাবু বাড়িতে ছিলেন না। আনন্দপুরে নিমাই নন্দীর বাড়িতেও চুরি হয়। সম্প্রতি হাটপাড়ার একটি সোনার দোকানের তালা ভেঙে গয়না লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা।
শহরে অপরিচিতের আনাগোনা বেড়েছে। রমরমা বেড়েছে জুয়া-সাট্টার আসরেরও। শহরে অসামাজিক কাজকর্ম বাড়ায় সন্ধ্যার পর একা রাস্তায় বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। ক্ষীরপাই পুরপ্রধান দুর্গাশঙ্কর পানের অভিযোগ, “এলাকায় পরপর চুরি, ছিনতাই-সহ নানা অসামাজিক কাজকর্ম বাড়ছে। পুলিশকে বলেও লাভ হয়নি।”
জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা হলেই শহরের প্রাণকেন্দ্র হালদার দিঘি ও ডাকবাংলো এলাকায় বসে জুয়া-সাট্টার আসর। মদের আসরে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে অপরিচিতরাও আসে। দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ীয় অভিযোগ, “সন্ধ্যা হলেই ক্ষীরপাই পুরশহর সংলগ্ন হেমতপুরে পুলিশের টহলরত গাড়ি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ি থামিয়ে তোলা আদায় করে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেনি।” চন্দ্রকোনা থানা সূত্রে খবর, সব ঘটনায় অভিযোগ হয়নি। যে সব ক্ষেত্রে হয়েছে, তদন্ত চলছে। আর রাতে শহরে পুলিশি টহলও চলছে।