গ্যাস ডিলার বদল নিয়ে মিলল রফাসূত্র

আপাতত পুরনো ডিলারদের থেকেই মিলবে রান্নার গ্যাস। সোমবার ডিলার, গ্রাহক প্রতিনিধি ও আইওসি-র প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বৈঠক করেন খড়্গপুরের মহকুমাশাসকন সঞ্জয় ভট্টাচার্য। আইওসির প্রতিনিধির কাছে তিনি আবেদন করেন, ‘আপাতত আগের অবস্থায় ফিরে গিয়ে গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:১৮
Share:

আপাতত পুরনো ডিলারদের থেকেই মিলবে রান্নার গ্যাস। সোমবার ডিলার, গ্রাহক প্রতিনিধি ও আইওসি-র প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বৈঠক করেন খড়্গপুরের মহকুমাশাসকন সঞ্জয় ভট্টাচার্য। আইওসির প্রতিনিধির কাছে তিনি আবেদন করেন, ‘আপাতত আগের অবস্থায় ফিরে গিয়ে গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে’।

Advertisement

মহকুমাশাসকের দফতরে অয়োজিত ওই বৈঠকের পর আইওসি-র ফিল্ড ম্যানেজার এসকে চট্টোপাধ্যায় কিছু বলতে না চাইলেও পরে দুর্গাপুর থেকে আইওসি-র চিফ এরিয়া ম্যানেজার ডি মুরলি ফোনে বলেন, “খড়্গপুরে যা হল, কোথাও এমনটা হয়নি। তবে মহকুমাশাসকের আবেদন অনুযায়ী, আমরা আপাতত কোনও গ্রাহককে স্থানান্তর করছি না।” তবে কোনও গ্রাহক সিলিন্ডার সরবারহে সমস্যা হচ্ছে বুঝলে, তাঁরা স্বেচ্ছায় নতুন ডিলারের কাছে যেতে পারেন বলে ওই কর্তা জানান। তাঁর কথায়, নিয়মানুযায়ী পুরনো ডিলারের গ্রাহকদের নতুন ডিলারের কাছে স্থানান্তরের এক্তিয়ার রয়েছে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে গোলবাজারের গ্রাহক প্রতিনিধি অনিল দাস, আইআইটির প্রদীপ ধর বলেন, “আইওসি মহকুমাশাসকের আবেদন রাখবে কি না নিয়ে সংশয়ে রয়েছি।”

রেলশহরের গোলবাজার, আইআইটি সমবায় ও ইন্দা এলাকায় রান্নার গ্যাসের গ্রাহকদের সম্প্রতি ডিলার বদল নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলাও অবনতি হতে থাকে। পরিস্থিতি দেখে দ্রুত সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের আশ্বাস দিয়েছিলেন মহকুমাশাসক। এ দিনের বৈঠক শেষে সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “আইওসির প্রতিনিধির কাছে আবেদন করেছি, আপাতত আগের অবস্থায় ফিরে গিয়ে গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে।”

Advertisement

রান্নার গ্যাসের গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকায় গোলবাজার, আইআইটি সমবায়, ইন্দা ছাড়াও আরও একটি ‘ডিলার পয়েন্ট’ খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরবারহকারী সংস্থা আইওসি। সম্প্রতি শহরের ঝাপেটাপুরে সেই নতুন পয়েন্ট খোলা হয়েছে। পুরনো গোলবাজারের ডিলার ও আইআইটির সমবায়ের ডিলারের থেকে নতুন ডিলারের কাছে মোট ১৩ হাজার গ্রাহককে স্থানান্তর করে আইওসি কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে সমস্যা হয়। গ্রাহকেরা মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন। আইআইটির ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম চক্রবর্তীও রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে গত ৩১ অক্টোবর সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement