চন্দ্রকোনায় ভোট প্রচারে আফরিন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৪ ০০:৫১
Share:

চন্দ্রকোনায় কর্মী সম্মেলনে তৃণমূল প্রার্থী আফরিন আলি।—নিজস্ব চিত্র।

ভোটে জিতে কাজ না করতে পারলে সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করতে আমার কোনও সময় লাগবে না ভোট প্রচারে এসে দলীয় কর্মিসভায় এমনটাই ঘোষণা করলেন হুগলির আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আফরিন আলি। বুধবার আফরিন বলেন, “আমি তৃণমূল ছাড়া আর কিছু বুঝি না। আপনারা আমাকে জয়ী করুন। দিল্লি যেতে পারলে এলাকার উন্নয়ন এবং নানা সমস্যার সমাধানই হবে আমার ধ্যানজ্ঞান।”

Advertisement

বস্তুত, চন্দ্রকোনা বিধানসভা এলাকাটি জেলা হিসাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে হলেও বরাবরই তা আরামবাগ লোকসভার অর্ন্তভুক্ত। এই লোকসভা কেন্দ্রের ফলে ধারাবাহিক ভাবে বামেদের দাপট রয়েছে। এই কেন্দ্র থেকেই সিপিএমের অনিল বসু ৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। ২০০৯ সালে কলেজ শিক্ষক শক্তিমোহন মালিক প্রার্থী হন। তখনও তিনি ২ লক্ষ ১ হাজার ভোটে জেতেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত-বিধানসভা ও পুরভোটে বামেদের একের পর এক খারাপ ফলের পর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সমীকরণ দেখে তৃণমূলের আশা তারাই এ বার আরামবাগ লোকসভায় জিতবেন। তবে লড়াই ছাড়া এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয় বামেরা। জেতার লক্ষ্যে এ বারেও বামফ্রন্ট জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। প্রার্থী ঘোষণার পরই শক্তিমোহনবাবু চন্দ্রকোনায় এসে মিছিল-বৈঠকও করে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, চন্দ্রকোনা বিধানসভা এলাকাটি

এ দিন চন্দ্রকোনায় এসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বদের সঙ্গে পরিচিত হন আফরিন। জেলা থেকে বুথ স্তরের নেতৃত্বদের সঙ্গে একদফা বৈঠকের পর শহরের টাউন হলে রিষড়া পুরসভার বর্তমান উপ-পুরপ্রধান আফরিন কর্মী সম্মেলন করেন। সেখানে ৪০৯টি বুথ থকে আসা হাজার খানেক দলীয় কর্মী-সমর্থক ছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, জেলা তৃণমূল সভাপতি দীনেন রায়, ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই, শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া, অমিতাভ কুশারি, সুকুবার চক্রবর্তী-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

সম্মেলনে মন্ত্রী বেচারাম কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “দেওয়াল লিখন, ফেস্টুন এবং মিছিলের উপর জোর দিতে হবে। একাধিক বার বাড়ি বাড়ি প্রচারে যেতে হবে। প্রয়োজন হলে সিপিএমের সমর্থক-কর্মীদের বাড়িতেও যেতে হবে।” তাঁর কথায়, “তৃণমূলের আমলে উন্নয়নের জোয়ার দেখে সিপিএম নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।”

তবে, গোষ্ঠী কোন্দলে নিজেদের মধ্যে ভোট কাটাকাটি এড়াতে তত্‌পর রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। একাধিক বার চন্দ্রকোনায় এসে দীনেন রায়, শঙ্কর দোলই-সহ জেলা নেতারা দলীয় কর্মী ও স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এমনকী সদ্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি চিত্ত পালকে নির্বাচন কমিটিতে রেখে মান ভাঙানোর মরিয়া চেষ্টাও চলছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement