রেলশহরে জলপ্রকল্প রূপায়ণে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা পাচ্ছে না কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভা। মঙ্গলবার খড়্গপুর পুরভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই অভিযোগ করলেন পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে। বৈঠকে পুরপ্রধান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-পুরপ্রধান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল, নির্দল কাউন্সিলর সত্যদেও শর্মা-সহ কংগ্রেস কাউন্সিলররা। এ দিন বিগত তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের সঙ্গে বর্তমান কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ডের কর্মপদ্ধতির তুলনাও তুলে ধরা হয় ওই বৈঠকে।
২০১০ সালের নির্বাচনে খড়্গপুর পুরসভা দখল করে তৃণমূল। এরপরই পুরসভার পক্ষ থেকে মাচনে জলপ্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু প্রকল্প এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। গত বছর ৫ অগস্ট অনাস্থা য় জিতে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। কিন্তু তার পরেও কেটে গিয়েছে ৭ মাস। এখনও পাইপ লাইন ছাড়া জলপ্রকল্পের আর কিছুই অগ্রগতি না হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই এক প্রকার সাফাই দিয়েই তবে এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডের অভিযোগ, “জলপ্রকল্পে রাজ্য সরকারের যে সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল তা আমরা পাচ্ছি না। সব জায়গায় এই জলপ্রকল্প দেখে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ। কিন্তু এখানে পুর কারিগরি বিভাগকে ভার দেওয়া হয়েছে। ফলে এমন অনেক কাজ রয়েছে তা যথাযথ করা যাচ্ছে না। কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত ৮৪ কোটি টাকা টাকা নষ্ট হতে দেব না। নির্বচনের পরে যেখানে যেতে হয় যাব।”
রেলশহরে জলের আকাল দীর্ঘদিনের ঘটনা। ফি-বছর গ্রীষ্মে জল সরবারহের নানা পরিকল্পনা করা হলেও চাহিদা অনুযায়ী জল দিতে পারে না এই পুরসভা। এই এলাকায় জলপ্রকল্পের গুরুত্ব অপরিসীম সেটা মানছেন পুর কর্তৃপক্ষ। কংগ্রেস পুরপ্রধান আরও বলেন, “গত পুরবোর্ডে পাইপ বসানো আর দু’চারটি ওভারহেড ট্যাঙ্ক করা ছাড়া কিছুই হয়নি। জলপ্রকল্পের জন্য এখনও উৎস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা ভেবেছিলাম উৎস পেলে পুরনো প্রকল্প দিয়ে প্রতি বাড়িতে দিনে ৫০ লিটার জল দিতে পারব। কিন্তু সেটাও সম্ভব হচ্ছে না।”