জলসঙ্কট কাটাতে উদ্যোগী পুরসভা

গরম পড়লেই জল সঙ্কট খড়্গপুর শহরের চেনা ছবি। খড়্গপুর পুর এলাকার বাসিন্দাদের এই সমস্যা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ এসেছে পুরসভায়। বুধবার সেই অভিযোগের তদন্ত করতেই পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে ও জল বিষয়ক পুর-পারিষদ ভেঙ্কট রামনা পরিদর্শন করলেন শহরের দু’টি ওয়ার্ড। রাজনৈতিক মহলের দাবি, বছর ঘুরলেই পুরভোট। তাই জল সঙ্কট নিয়ে আর বাড়তি কোনও চাপ রাখতে চাইছে না পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৪ ০১:১১
Share:

গরম পড়লেই জল সঙ্কট খড়্গপুর শহরের চেনা ছবি। খড়্গপুর পুর এলাকার বাসিন্দাদের এই সমস্যা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ এসেছে পুরসভায়। বুধবার সেই অভিযোগের তদন্ত করতেই পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে ও জল বিষয়ক পুর-পারিষদ ভেঙ্কট রামনা পরিদর্শন করলেন শহরের দু’টি ওয়ার্ড। রাজনৈতিক মহলের দাবি, বছর ঘুরলেই পুরভোট। তাই জল সঙ্কট নিয়ে আর বাড়তি কোনও চাপ রাখতে চাইছে না পুরসভা।

Advertisement

শহরের রেলের ওয়ার্ডে জল সরবরাহ সাধারণত রেল কর্তৃপক্ষই করে থাকে। তবে পুর এলাকায় জল নিয়ে বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়তে হয় প্রতি বছরই। তবে ১৯৯৯ সালের জলপ্রকল্পের পরে শহরে জলের চাহিদা কিছুটা সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু পরে চাহিদামতো কিছু ওয়ার্ডে ছোট মাপের গভীর নলকূপ বসালেও সমস্যা মেটেনি। প্রতি বছর গরম পড়তেই শহরের বিদ্যাসাগরপুর, বালুবস্তি, খরিদা, তালবাগিচা, ভবানীপুর, মালঞ্চ-সহ বিভিন্ন এলাকায় বাড়ছে জলসঙ্কট।

জল সঙ্কটের মোকাবিলা করতে ২০১০ সালে পুর-নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে তৃণমূল বোর্ড নতুন জলপ্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিল। সেই প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৮৬ কোটি টাকা কাজ শুরু হয়েছিল তবে ২০১৩ সালের ৫ অগস্ট। অনাস্থা ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস। তৃণমূলের অভিযোগ, এর পর থেকেই ওই জলপ্রকল্প গতি হারায়। কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল বোর্ড ওই জল প্রকল্প অপরিকল্পিতভাবে করেছিল। জলের উৎসের সন্ধান না করে শুধু পাইপ বসানো হয়েছিল। তাই এ বার সন্ধান চলছে প্রকৃত উৎসের। আবার লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনটি গভীর নলকূপ বসিয়ে গ্রীষ্মের এই জল সঙ্কট দূর করার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল নির্বাচনী বিধিতে তা থমকে গিয়েছিল। সম্প্রতি সেই কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এই গরমে জলের চাহিদা বাড়তে থাকায় প্রতিদিনই অভিযোগপত্র জমা পড়ছে পুরসভায়। তাই এ দিন সেই অভিযোগেরই তদন্ত করতে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান পুরপ্রধান।

Advertisement

বিদ্যাসাগরপুরের বাসিন্দা সোমা সেনগুপ্ত পুরপ্রধানের কাছএ অভিযোগ জানান, “পুরসভার সংযোগ নেওয়ার মাস কয়েক পর থেকেই জল পাই না। পাড়ার সব বাড়িতে একই অবস্থা।” রবিশঙ্করবাবু বলেন, “যা জল সরবারহ হয় তা ঠিকই রয়েছে। কিন্তু কেন জল সরু হয়ে পড়ছে তা বোঝা যাচ্ছে না। আমি ওই এলাকার সমস্ত পাইপলাইন পরীক্ষা করতে বলেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন