ট্রেনের ধাক্কায় জখম মা-মেয়ে

রেললাইন ধরে হেঁটে স্টেশনে আসার পথে দুই ট্রেনের মাঝে পড়ে যান গৃহবধূ ও তাঁর দু’বছরের শিশু। ট্রেনের ধাক্কায় আহত হন তাঁরা। সোমবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পাঁশকুড়া-হলদিয়া শাখায় রঘুনাথবাড়ি স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত গৃহবধূ সোমা কাজলী ও তাঁর শিশু কন্যা আরাধ্যাকে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই গৃহবধূর বাম হাত ও পা ভেঙে গিয়েছে ও নাকে আঘাত লেগেছে। শিশুটির মাথায় আঘাত লেগেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৪ ০১:১০
Share:

রেললাইন ধরে হেঁটে স্টেশনে আসার পথে দুই ট্রেনের মাঝে পড়ে যান গৃহবধূ ও তাঁর দু’বছরের শিশু। ট্রেনের ধাক্কায় আহত হন তাঁরা। সোমবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পাঁশকুড়া-হলদিয়া শাখায় রঘুনাথবাড়ি স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত গৃহবধূ সোমা কাজলী ও তাঁর শিশু কন্যা আরাধ্যাকে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই গৃহবধূর বাম হাত ও পা ভেঙে গিয়েছে ও নাকে আঘাত লেগেছে। শিশুটির মাথায় আঘাত লেগেছে।

Advertisement

রেল পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোমাদেবীর বাপের বাড়ি পাঁশকুড়া থানার সুন্দরনগর গ্রামে। সোমাদেবীর স্বামী দীপঙ্কর কাজলী একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজের সূত্রে মুম্বইতে থাকেন। মাস দু’য়েক আগে সোমাদেবী পাঁশকুড়ায় বাপের বাড়ি এসেছিলেন। বাড়ি ফেরার জন্য সোমবার সকালে রঘুনাথবাড়ি স্টেশন থেকে দিঘাগামী ট্রেনে চেপে তাঁর হেড়িয়া স্টেশনে নামার পরিকল্পনা ছিল। এ দিন সকালে সুন্দরনগর গ্রাম থেকে সোমাদেবী মেয়েকে কোলে নিয়ে হেঁটে রেললাইন ধরে রঘুনাথবাড়ি স্টেশনের দিকে আসছিলেন। সঙ্গে ছিলেন সোমাদেবীর মা অপর্ণা বেরা। সকাল ৮টা নাগাদ রঘুনাথবাড়ি স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে কয়েকশো মিটার দূরে হেঁটে আসার সময় সাঁতরাগাছি থেকে দিঘাগামী তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস ট্রেন আসছিল। ওই একই সময়ে অন্য লাইন দিয়ে যাচ্ছিল দিঘা থেকে সাঁতরাগাছিগামী একটি ট্রেন। ওই দুই ট্রেন আসার সময় অপর্ণাদেবী রেললাইন পেরিয়ে একধারে চলে যান। কিন্তু আর শিশুকে কোলে নিয়ে সোমাদেবী দুই রেললাইনের মাঝে দাঁড়িয়ে যান। সেই সময় দিঘা থেকে সাঁতরাগাছি ট্রেনের ধাক্কায় রেললাইনে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন সোমাদেবী ও তাঁর শিশুকন্যা। দুর্ঘটনার পরে সাঁতরাগাছি থেকে দিঘাগামী ট্রেন রঘুনাথবাড়ি স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায়। ট্রেনের এক যাত্রী শ্রীরামপুরের বাসিন্দা সুকল্যাণ সোমের সাহায্যে অপর্ণাদেবী আহত সোমাদেবী ও তাঁর শিশুকন্যাকে ওই ট্রেনে করেই তমলুক স্টেশনে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন