রামনগরে ডাকাতির ঘটনায় ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হল। শুক্রবার ধৃত দুই তামিল দুষ্কৃতীকে কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক এই নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার কাঁথির রামনগরে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লুঠ করে পালাতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে দুই তামিল দুষ্কৃতী। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে আরও তিন জন ছিল। তাঁরা রামনগর বাজারে অপেক্ষা করছিল। কিন্তু ওই দুই তামিল দুষ্কৃতী পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরই তাঁরা পালায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ধৃত দুই দুষ্কৃতীকে জেরা করার জন্য তমলুক থেকে তামিল জানা এক আইপিএস অফিসারকে রামনগরে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে রামনগর থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী, এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসুর উপস্থিতিতে ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত ভি জগদীশন ও পি করুগাপারন তাঁদের বাড়ি তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুচিরাপল্লি জেলার ইটামাল্লাপত্তিপুদুর থানার রামজীনগরে বলে জানিয়েছে। ডাকাতির উদ্দেশে দিন দু’য়েক আগেই তাঁরা পাঁচ জন মিলে ট্রেনে করে তামিলনাড়ু থেকে রামনগরে আসে। তাঁদের মধ্যে এক জন ব্যাঙ্কে ঢুকলেও বাকি চার জন পাশ্ববর্তী রামনগর বাজারে অপেক্ষা করছিল। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লুঠ করে পালাবার পথে দুই দুষ্কৃতী পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তাঁদের কাছ থেকে লুঠ করা ১০ লক্ষ টাকাও উদ্ধার হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাকিরা চম্পট দেয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানান, তামিলনাড়ু থেকে এরাজ্যে কেপমারি করতেই ওই দুষ্কৃতীরা আসে বলে ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছে। তাঁরা দলবেধেই এই কেপমারির কাজ করে থাকে। ধৃতেরা এর আগেও কোনও ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার ধৃত ভি জগদীশন ও পি করুগাপারনকে কাঁথি আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একদিনের ব্যবধানে তমলুক ও রামনগরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনার পর নিরাপত্তা বাড়াতে জেলার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে পুলিশি টহল দেবে।