লালগড়

তরুণের দেহ উদ্ধার, ধৃত প্রতিবেশী যুবক

স্ত্রী-র সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহে এক তরুণের মুণ্ডু কেটে খুন করার অভিযোগে প্রতিবেশী যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার লালগড় থানার ধরমপুর অঞ্চলের হদহদি গ্রামের ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে হদহদি লাগোয়া ধানজমির সেচ-বিলে মাধব মাহাতো-র (২২) মুণ্ডু কাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অংশুমান সাহা এবং ডিএসপি (অপারেশন) সৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৫ ০০:১৬
Share:

স্ত্রী-র সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহে এক তরুণের মুণ্ডু কেটে খুন করার অভিযোগে প্রতিবেশী যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার লালগড় থানার ধরমপুর অঞ্চলের হদহদি গ্রামের ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে হদহদি লাগোয়া ধানজমির সেচ-বিলে মাধব মাহাতো-র (২২) মুণ্ডু কাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অংশুমান সাহা এবং ডিএসপি (অপারেশন) সৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশের কুকুরও নিয়ে আসা হয়। মৃতদেহের গন্ধ শুঁকে পুলিশের কুকুরটি হদহদি গ্রামের ভোলানাথ মাহাতোর বাড়ি অবধি যায়। মাধবের বাবা পেশায় মেদিনীপুর আদালতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সনাতন মাহাতোর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে ভোলানাথকে আটক করে পুলিশ। পরে ভোলানাথকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের দাবি, জেরায় বছর আঠাশের ভোলানাথ খুনের কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময় ভোলানাথের পরিবারের সঙ্গে মাধবের পরিবারের ভাল সম্পর্ক ছিল। চাষ জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য মাধবের স্যালো টিউবওয়েলটি ভাড়া নিতেন ভোলানাথ। সেই সূত্রে ভোলানাথের স্ত্রীর সঙ্গে মাধবের সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাশের দোমোহানি গ্রামে হরিনাম সংকীর্তনের আসরে গিয়েছিলেন মাধব। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। বুধবার সকালে গ্রামের অদূরে তাঁর মুণ্ডু কাটা দেহ পাওয়া যায়।

Advertisement

পুলিশের দাবি, জেরায় ভোলানাথ জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে মাধবের সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় নানা জল্পনা ছিল। এ ব্যাপারে মাধবকে সতর্কও করেছিলেন তিনি। তারপরও মঙ্গলবার রাতে হরিনাম সংকীর্তনের আসরে স্ত্রীর সঙ্গে মাধবকে গল্প করতে দেখে রেগে যান ভোলানাথ। পুলিশের দাবি, জেরায় ভোলানাথ স্বীকার করেছেন, মাধবকে টেনে নিয়ে গিয়ে ভোজালি দিয়ে মুণ্ডু কেটে খুন করেন তিনি।

পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ জানান, আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হবে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে আদালতে। খুনের ঘটনাও আরও কেউ জড়িত কি-না জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। মাধবের ভাই সাধব মাহাতো বলেন, “ভোলানাথের স্ত্রী আমার দাদার মোবাইলে ফোন করত। প্রায়ই ওদের কথা হতো। সেই আক্রোশেই আমার দাদাকে খুন করা হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement