হলদিয়ায় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। ছবি: আরিফ ইকবাল খান।
জেলা প্রশাসনের তরফে আয়োজিত প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে অভিবাদন দেওয়ার সময় কমান্ডারের নির্দেশের আগেই এক কনস্টেবলের বন্দুক থেকে চলল শব্দগুলি(বাকশট)। সোমবার তমলুক রাজময়দানে আয়োজিত প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে খোদ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের সামনে ঘটনাটি ঘটে। তবে এই জাতীয় গুলি ছুঁড়লে কেবল আওয়াজ বের হয়। ফলে এ দিন কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের দু’সেকেন্ড আগে বন্দুক থেকে ওই শব্দগুলি ছোড়া হয়েছে। ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের তরফে সোমবার সকালে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তমলুক শহরের রাজ ময়দানে। অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর সরকারি প্রথা মেনে অনুষ্ঠানে জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে পুলিশ বাহিনীর অভিবাদন নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। পুলিশ বাহিনীর অভিবাদন গ্রহণ করার জন্য অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে দাঁড়ান জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। তাঁদের সামনেই অভিবাদন দেওয়ার জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কমান্ডারের নির্দেশ পাওয়ার পরেই বন্দুক থেকে শব্দগুলি ছোড়ার কথা। কিন্তু এ দিন কমান্ডারের নির্দেশের আগেই এক পুলিশ কর্মীর বন্দুক থেকে শব্দগুলি বেরিয়ে যায়। এই ঘটনায় কিছুটা ছন্দপতন ঘটে ওই অনুষ্ঠানের। কিছুক্ষণের মধ্যে অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ফের অভিবাদন অনুষ্ঠান চলে
তবে প্রজাতন্ত্র দিবসে এমন ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মীর কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। আবার পুলিশের একাংশের মতে, অসাবধানতার জন্যই এমন ঘটনা। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ছিলেন তমলুকের পুরপ্রধান দেবিকা মাইতি, উপ-প্রধান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় সহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা।
সারা দেশের সঙ্গে কাঁথিতেও সোমবার দেশের ৬৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হল। কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজ মাঠে এবার প্রথমবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কাঁথির মহকুমাশাসক সরিৎ ভট্টাচার্য পতাকা উত্তোলন করেন। পরে কাঁথি থানার আইসি সুবীর রায়ের নেতৃত্বে কাঁথি থানা, মহিলা থানা, এনসিসি, অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে মহকুমাশাসককে কুচকাওয়াজ অভিভাদন জানানো হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্কুলের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকারা নানা ট্যাবলো নিয়ে শহর পরিক্রমা করেন। কাঁথির রোটারি ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।