নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়া-সহ ৫৫ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন আরও পিছিয়ে গেল। মামলার চার্জগঠন সংক্রান্ত শুনানির জন্য অভিযুক্তদের আগামী ৩০ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জমিরক্ষা আন্দোলন পর্বে সিপিএমের নন্দীগ্রাম ‘পুনর্দখল’ অভিযানের সময় ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর গোকুলনগরে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মিছিলে সশস্ত্র হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। ওই হামলার ঘটনায় প্রতিরোধ কমিটির সমর্থক দু’জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়, জখম হন কয়েকজন গ্রামবাসী। ওই হামলার পর প্রতিরোধ কমিটির সমর্থক ৬ জন গ্রামবাসী নিখোঁজ হন। অভিযোগ, ওই ৬ জনকে খুন করে তাঁদের দেহ খেজুরির কাছে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। ওই ৬ জনের নিখোঁজ সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ-সহ সিপিএম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার চার্জগঠনের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে শুনানি চলছে।
বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু-সহ ৫৫ জন অভিযুক্তদের হাজির হওয়ার নির্দেশ থাকলেও ৬ জন অভিযুক্ত হাজির ছিলেন না। ওই ৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক। ইতিমধ্যে ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে নন্দলাল ভুঁইয়া নামে এক অভিযুক্তের তরফে জেলা আদালতে আবেদন করা হয় ঘটনার সময় তিনি নাবালক ছিলেন। বয়স সংক্রান্ত প্রমাণের জন্য পেশ করা ঠিকুজি তৈরিতে যুক্ত ব্যক্তি ও অভিযুক্তের অভিভাবককে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। গত বুধবার জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে ওই অভিযুক্তের ঠিকুজি তৈরিতে যুক্ত ব্যক্তি ও তাঁর অভিভাবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এ দিন জেলা আদালতে ওই মামলায় হাজির অভিযুক্তদের কাছে বিচারক জানতে চান তাঁদের বিরুদ্ধে আনা চার্জশিটের যে সব নথি দেওয়া হয়েছে তাঁতে কোনও অস্পষ্টতা আছে কি-না। দু’জন অভিযুক্তদের তরফে জানানো হয় তাঁদেরকে দেওয়া নথিতে অস্পষ্টতা রয়েছে। বিচারক ওই দুই অভিযুক্তকে স্পষ্ট নথি দেওয়ার জন্য সরকার পক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন।