পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশ

তৃণমূল পরিচালিত মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করলেন দলীয় সদস্যরা। সোমবার অনাস্থা বৈঠকে পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা, সংস্কৃতি, তথ্য ও ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির আট জন সদস্যর মধ্যে তৃণমূলের পাঁচ জন উপস্থিত ছিলেন। ফলে বৈঠকে অনাস্থা প্রস্তাব ৫-০ ভোটে পাশ হয়ে যায়। যদিও বৈঠকে স্থায়ী সমিতির সদস্য শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রঘুনাথ পণ্ডা, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী ও সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কল্যাণি মাজি অনুপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:০৬
Share:

তৃণমূল পরিচালিত মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করলেন দলীয় সদস্যরা। সোমবার অনাস্থা বৈঠকে পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা, সংস্কৃতি, তথ্য ও ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির আট জন সদস্যর মধ্যে তৃণমূলের পাঁচ জন উপস্থিত ছিলেন। ফলে বৈঠকে অনাস্থা প্রস্তাব ৫-০ ভোটে পাশ হয়ে যায়। যদিও বৈঠকে স্থায়ী সমিতির সদস্য শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রঘুনাথ পণ্ডা, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী ও সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কল্যাণি মাজি অনুপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

রঘুনাথবাবুর অভিযোগ, “একাধিকবার বৈঠক ডাকলেও শিক্ষা সংক্রান্ত স্থায়ী সমিতির অনেক সদস্য আসেননি। বৈঠকে যাঁরা আসেননি, তাঁরাই আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। তাই আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।” তাঁর আরও অভিযোগ, “মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দলের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে এসব করাচ্ছেন। আর নিজের দোষ ঢাকতে তিনি এ দিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।” যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, “অনাস্থা আটকানোর অনেক চেষ্টা করেছি। আমি নিজেও এ দিন অনাস্থা বৈঠকে যাইনি। রঘুনাথবাবু আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।”

যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস বলেন, “রঘুনাথবাবু আমাদের ছাড়াই নিজের মতো কাজ করছিলেন। তাঁর কাজ সন্তোষজনকও নয়। তাই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল।” মহিষাদলের বিডিও তন্ময় বন্দোপাধ্যায় জানান, শিক্ষা,সংস্কৃতি, তথ্য ও ক্রীড়া সংক্রান্ত স্থায়ী সমিতির আট জন সদস্যর মধ্যে পাঁচ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত পাঁচ জনই শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষকে অপসারণের পক্ষে মত দিয়েছেন। ফলে শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অপসারিত হয়েছেন। এ বিষয়ে মহকুমাশাসককে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে সমিতির সদস্য কল্যাণ মাজি বলেন, “ওরা নিজেদের মধ্যে অনাস্থা এনেছিল। তাই আগে থেকেই অনাস্থা বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন