তথ্য-প্রযুক্তির অব্যবস্থা। আধার কার্ডের পর এ বার রেশন কার্ডেও। নামের বানান ভুল বা ঠিকানা ভুল শুধু নয়, গ্রাহকের নামের জায়গায় অনেক ক্ষেত্রেই লেখা হয়েছে অপশব্দ। বেশ কয়েকটি কার্ডে এমন ভুল নজরে এসেছে প্রশাসনের। ফলে সে সব কার্ড আর হস্তান্তরই করা হয়নি।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের সাওড়াবেড়িয়া জালপাই ১ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার পর পর দু’টি কার্ডে গ্রাহকের এবং পরিবার প্রধানের নামের জায়গায় লেখা হয়েছে একাধিক পশুর নাম। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রথমটিতে গ্রাহকের নামে রয়েছে সাড়ে পাঁচ বছরের এক শিশুর নাম। বাবার নামও ঠিক। কিন্তু পরিবারের প্রধান হিসেবে লেখা রয়েছে একাধিক পশুর নাম (‘মহিষ ঘোড়া হাতি ডগ’)। পরের ক্রমিক সংখ্যার কার্ডে গ্রাহকের নাম, পরিবার প্রধানের নাম— সর্বত্রই লেখা রয়েছে
পশুর নাম।
জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, ‘‘দ্রুত কাজ করতে গিয়ে ভুল হয়ে থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে তথ্য সংযুক্তির সময় কেউ এমনটা এটা করেছে বলে মনে হচ্ছে। এই ঘটনায় দোষীকে চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত করা হবে।’’ তৃণমূল পরিচালিত সাওড়াবেড়িয়া জালপাই ১ গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান নমিতা বর্মন বলেন, ‘‘এলাকার প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দার জন্য ডিজিটাল রেশন কার্ড এসেছ। কিছু কিছু অসঙ্গতি নজরে এসেছে। কিন্তু দু’টি কার্ডে যে ভুল হয়েছে, তাতে আমাদের কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে।’’ এই ঘটনার মধ্যে অবশ্য ষড়যন্ত্রের ছায়া দেখছেন তৃণমূল পরিচালিত নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার বেরা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছেন
কিছু ব্যক্তি।’’