মিছিল ঘিরে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল

লোকসভায় তারকা প্রার্থীর প্রচারেও এ বার কলেজ পড়ুয়াদের নিয়ে গোষ্ঠী রাজনীতিতে মজেছে তৃণমূল। প্রার্থী সন্ধ্যা রায়ের সমর্থনে নবীন প্রজন্মের কলেজ পড়ুয়াদের নিয়ে মঙ্গলবার শহর টিএমসিপি মিছিল করেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৪ ০২:০৩
Share:

খড়্গপুরে সন্ধ্যা রায়ের সমর্থনে পড়ুয়াদের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।

লোকসভায় তারকা প্রার্থীর প্রচারেও এ বার কলেজ পড়ুয়াদের নিয়ে গোষ্ঠী রাজনীতিতে মজেছে তৃণমূল। প্রার্থী সন্ধ্যা রায়ের সমর্থনে নবীন প্রজন্মের কলেজ পড়ুয়াদের নিয়ে মঙ্গলবার শহর টিএমসিপি মিছিল করেছিল। বৃহস্পতিবার সেই মিছিলের পাল্টা ওই ছাত্র সংগঠনেরই অন্য একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে পড়ুয়াদের ফের মিছিল হল খড়্গপুর শহরে। এ দিন খড়্গপুর কলেজ থেকে ইন্দার কমলা কেবিন পর্যন্ত মিছিলটি যায়।

Advertisement

গত মঙ্গলবার শহরের খরিদা থেকে গোলবাজার রামমন্দির পর্যন্ত কলেজ পড়ুয়াদের নিয়ে মিছিল করে টিএমসিপি। সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন শহর তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী, শহর টিএমসিপি সভাপতি রাজা সরকার, খড়্গপুর কলেজের সাধারণ সম্পাদক প্রসূন চক্রবর্তী। আর বৃহস্পতিবারের মিছিলে কলেজ পড়ুয়াদের নেতৃত্ব দেন টিএমসিপি-র প্রাক্তন শহর সভাপতি অসিত পাল, কলেজের ইউনিট সভাপতি প্রদীপ নায়েক, টিএমসিপি নেতা সোমনাথ দাস।

কিন্তু মঙ্গলবারের মিছিলের পরে কেন ফের মিছিল? শহর রাজনীতিকদের মত, শক্তি যাচাইয়ের খেলাতেই শহর তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী ও জেলা কোর কমিটির সদস্য জহরলাল পালের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল এই মিছিল। ২০১০ সালের পুরসভা নির্বাচনে খড়্গপুর শহরে জয়ী হয় তৃণমূল। তবে জহরলাল পাল পুরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই শহর তৃণমূলে গোষ্ঠী-রাজনীতির সূত্রপাত। প্রাক্তন পুরপ্রধান জহরলাল পাল ও শহর সভাপতি দেবাশিস চৌধুরীর কোন্দল ইদানীং চরমে পৌঁছেছে।

Advertisement

জহরলাল পালের ছেলে প্রাক্তন শহর সভাপতি অসিত পালের অভিযোগ, “সে দিন আমাদের ইউনিট সভাপতিকে না জানিয়েই রাজা সরকার ইচ্ছে মতো মিছিল করেছে। আমরা ওই মিছিল মানি না। তাই সন্ধ্যা রায়ের সমর্থনে পথে নেমেছি।” অন্য দিকে শহর টিএমসিপি সভাপতি রাজা সরকারের দাবি, “আমি সকলকে ডাকলেও ওঁরা আসেননি। আসলে কলেজে ছাত্র ভর্তি থেকে অন্যায় কাজকর্মে বাধা দেওয়াতেই ওঁরা পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন।”

জেলা টিএমসিপি-র সভাপতি রমা গিরির সাফাই, “দেবাশিসদা ও জহরদা আমাদের শ্রদ্ধেয়। আগের দিন রাজা শহর সভাপতি হিসেবে মিছিলের আয়োজন করেছিল। সকলকে ফোনে হয়তো পায়নি। তাই ইউনিট সভাপতি প্রদীপ কলেজে মিছিল করতে চেয়েছিল। আমি অনুমতি দিয়েছি। এর সঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দলের কোনও সম্পর্ক নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন