মেদিনীপুর শহরের মহাতাবপুরে সৌমেশ্বর মণ্ডলের তোলা ছবি।
বিজেপির বাইক মিছিল বন্ধ করে দিলেন এমসিসি দলের সদস্যরা। এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে। বুধবার সকালে মেদিনীপুর শহরে বিজেপির কর্মী- সমর্থকেরা বাইক মিছিল শুরু করেছিলেন। খবর পেয়ে মাঝপথে তা বন্ধ করে দেন এমসিসি দলের সদস্যরা। মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত বলেন, “এ ভাবে বাইক মিছিল করা যায় না। এ ক্ষেত্রে যা পদক্ষেপ করার তাই করা হয়েছে।”
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রভাকর তিওয়ারির সমর্থনে মেদিনীপুর শহরে প্রায় শ’খানেক বাইক নিয়ে মিছিল হয়। দলীয় নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, এটি রোড-শো। প্রার্থী নিজেও একটি গাড়িতে ছিলেন। রোড-শোয়ের জন্য পুলিশের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। শহরের বিদ্যাসাগর হলের মাঠ থেকে মিছিল শুরু হয়। পরে তা কালেক্টরেট মোড়, কেরানিতলা, বিধাননগর, শরৎপল্লী হয়ে জর্জকোর্ট রোডে পৌঁছয়। এখান থেকে নজরগঞ্জ হয়ে মিছিলটি জগন্নাথমন্দিরচকের দিকে যাচ্ছিল। তার আগেই এমসিসি দলের (মডেল কোড অফ কনডাক্ট) সদস্যরা মিছিল বন্ধ করে দেন। বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন, ভোট-প্রচারে এ ভাবে বাইক মিছিল করা যাবে না।
পুলিশ-প্রশাসনের এই ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপির নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “মেদিনীপুর শহরে আমাদের রোড-শো ছিল। মিছিলে যদি উৎসাহী মানুষ বাইক নিয়ে সামিল হন, আমরা কী করব!” এক ধাপ এগিয়ে বিজেপির শহর সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “ক’টা বাইকে আমাদের দলের পতাকা ছিল? আমরা রোড-শো’ই করছিলাম। হাতে গোনা কয়েকটি বাইকে দলের কর্মীরা ছিলেন। বাইকের সংখ্যা দশের বেশি হবে না! তবে বাকি যে বাইকগুলো ছিল, সেগুলো আমরা সংগঠিত ভাবে আনিনি! বেশ কয়েকজন নিজে থেকে বাইক নিয়ে মিছিলে সামিল হয়েছেন!”
প্রার্থীর পাশাপাশি দলের এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সিংহ-সহ জেলা এবং শহরের বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব। মাঝপথে মিছিল বন্ধ করে দেওয়ার পর দলের কর্মী-সমর্থকেরা মেদিনীপুরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ের সামনে আসেন। পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জেলা সভাপতি তুষারবাবুর কাছে নালিশ করেন। জেলা সভাপতি অবশ্য কর্মী-সমর্থকদের উত্তেজিত না হওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তিনি বলেন, “এ ভাবে আমাদের আটকানো যাবে না! মানুষ তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে বিজেপিকেই দেখছে। উৎসাহী কয়েকজন বাইক নিয়ে যদি রোড-শোয়ে সামিল হন, তাহলে তা বন্ধ করে দিতে হবে?”