রবিবাসরীয় প্রচারে প্রতিপক্ষরা

সামনের মাসের গোড়ায় ভোট। হাতে সময় নামমাত্র। তাই রোদ-গরম উপেক্ষা করেই চুটিয়ে রবিবাসরীয় প্রচার সারলেন সব দলের প্রার্থীরা। কেউ সভায় ব্যস্ত থাকলেন, কেউ বা হাঁটলেন মিছিলে। রবিবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের জেলা পরিষদ হলে এক সভায় ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সন্ধ্যা রায়। জেলা তৃণমূল শিক্ষক সমিতি ও জেলা তৃণমূল আইনজীবী সেলের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৪ ০১:১৯
Share:

শহরের জেলা পরিষদ হলে মেদিনীপুরের প্রার্থী সন্ধ্যা রায়।

সামনের মাসের গোড়ায় ভোট। হাতে সময় নামমাত্র। তাই রোদ-গরম উপেক্ষা করেই চুটিয়ে রবিবাসরীয় প্রচার সারলেন সব দলের প্রার্থীরা। কেউ সভায় ব্যস্ত থাকলেন, কেউ বা হাঁটলেন মিছিলে।

Advertisement

রবিবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের জেলা পরিষদ হলে এক সভায় ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সন্ধ্যা রায়। জেলা তৃণমূল শিক্ষক সমিতি ও জেলা তৃণমূল আইনজীবী সেলের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়। প্রার্থীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি, দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ প্রমুখ। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রার্থীর হাতে বাবা তারকনাথের ছবি তুলে দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

সভায় জেলা তৃণমূলের সাধারন সম্পাদক সুকুমার পড়্যা বলেন, “বিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বলছে, অভিনেত্রী সংসদে গিয়ে কী করবেন? আপনি (প্রবোধ পণ্ডা) সংসদে গিয়ে কী করলেন, তার জবাব কে দেবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজের বিভিন্নস্তরের প্রতিষ্ঠিত মানুষদের প্রার্থী করেছেন। সন্ধ্যাদি তাঁদের একজন। দলনেত্রীর এই পদক্ষেপ প্রশংসাযোগ্য।” সমাজের সবস্তরের মানুষের রাজনীতিতে আসার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সন্ধ্যাদেবীও। তিনি বলেন, “আমি একজন শিল্পী হয়ে কেন এসেছি রাজনীতির মঞ্চে? আমি মনে করি, সমাজের সবস্তরের মানুষেরই অধিকার আছে রাজনীতিতে আসার। আসা উচিতও। সব স্তরের মানুষের উচিত সমাজকে বলিষ্ঠ করা। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”

Advertisement

তৃণমূলের শিক্ষক ও আইনজীবী সেলের উদ্যোগে পদযাত্রা (বাঁ দিকে)। এগরায় রোড-শো কংগ্রেস প্রার্থী বিমল রাজের। —নিজস্ব চিত্র।

সভা শেষে এদিন বিকেলে শহরে এক মিছিল হয়। তৃণমূল শিক্ষক সমিতি ও আইনজীবী সেলের এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ, শিক্ষক নেতা নারায়ণ সাঁতরা, আইনজীবী নেতা গৌতম মল্লিক প্রমুখ। পরে সদর ব্লকের নয়াগ্রাম এবং ধেড়ুয়ায় তৃণমূলের কর্মসূচি হয়। প্রার্থীও উপস্থিত ছিলেন।

এ দিন বিকেলে নারায়ণগড়ের রানিসরাইয়ে মিছিল করেন মেদিনীপুরের বাম প্রার্থী প্রবোধ পণ্ডা। পরে সভায় তিনি বলেন, “আইনসভাটাকে কোথায় নিয়ে যেতে চাইছে ওরা (তৃণমূল)। ওদের প্রার্থী রাজনীতির মধ্যে যাচ্ছেন না। কোনও নীতি- আদর্শের কথা বলছেন না। মানুষ সব দেখছেন। বিচার করছেন। শেষ সিদ্ধান্ত মানুষই নেবেন।”

মেদিনীপুরের কংগ্রেস প্রার্থী বিমল রাজ এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় প্রচার চালান। ঘাটালের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়া ছিলেন পাঁশকুড়ায়। আর মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রভাকর তিওয়ারি ছিলেন দাঁতনে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন