শ্লীলতাহানির মামলায় ধৃত দুই আইনরক্ষক

নাগরিকের নিরাপত্তা যাদের হাতে, তাদের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল দুই জায়গায়। খড়্গপুরে অভিযুক্ত ভিলেজ পুলিশের এক কর্মী। কাকদ্বীপের ঢোলাহাটে আবার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ। দু’জনকেই অবশ্য গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০২:২৯
Share:

নাগরিকের নিরাপত্তা যাদের হাতে, তাদের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল দুই জায়গায়।

Advertisement

খড়্গপুরে অভিযুক্ত ভিলেজ পুলিশের এক কর্মী। কাকদ্বীপের ঢোলাহাটে আবার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ। দু’জনকেই অবশ্য গ্রেফতার করা হয়েছে।

খড়্গপুরে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পলাশ চক্রবর্তী এক সময়ে ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক ছিল। বছর দুয়েক আগে ভিলেজ পুলিশের চাকরি পাওয়ায় সে ওই পদ ছেড়ে দেয়। পুলিশ জানায়, গত রবিবার বিকেলে বধূ নির্যাতনের একটি মামলায় সাক্ষীর সমন নিয়ে পলাশ মাদপুরে একটি বাড়িতে যায়।

Advertisement

গৃহকর্তা ও তাঁ স্ত্রী বাজারে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিল শুধু তাঁদের অষ্টম শ্রেণিতে পড়া মেয়ে। একা পেয়ে পলাশ তার শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। তার হাত কামড়ে দিয়ে মেয়েটি কোনও রকমে পালিয়ে এক পড়শির বাড়িতে চলে যায়। রাতে বাবা-মা ফিরলে সে তাঁদের সব জানায়।

কিশোরীর বাবা সিপিআই সমর্থক। তিনি বলেন, “ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলাম। উনি দু’দিনের মধ্যে মীমাংসা করার কথা বলেন। কিন্তু আমি বলেছিলাম, ভবিষ্যতে আর এমন করবে না বলে পলাশকে মুচলেকা দিতে হবে। পলাশ রাজি না হওয়ায় পুলিশে অভিযোগ জানাই।” তবে বিশ্বজিৎবাবুর দাবি, “পুরো ঘটনা শোনার পরে আমিই ওঁদের পুলিশের কাছে যেতে বলি।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদে তৃণমূলের দলনেতা অজিত মাইতি আবার বলেন,

“পলাশ ভাল ছেলে বলেই জানি। তাই পুলিশের সঠিক ভাবে তদন্ত করে দেখা উচিত।” মঙ্গলবার রাতে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ মাদপুর থেকে পলাশকে গ্রেফতার করে। বুধবার মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে তাকে এক দিনের জন্য জেল হাজতে রাখা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হবে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটে ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৫ নভেম্বর। পুলিশ সূত্রের খবর, সে দিন স্থানীয় কাশিয়াবাদ গ্রামে মনসা পুজোয় বাউল গান শুনে সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বছর পঁচিশের এক তরুণী। সেই সময় সিভিক ভলান্টিয়ার্সের কর্মী সুব্রত তিওয়ারি ও তার দুই সঙ্গী তাঁকে রাস্তার পাশে ঝোপে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কোনও ক্রমে তাদের হাত থেকে তিনি পালিয়ে আসেন। মঙ্গলবার তিনি ঢোলাহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ দিন তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার তাকে কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন