সব্জি তোলার পর নদীতে সংস্কার কাজ শুরুর দাবি চাষিদের

নদী সংস্কার শুরু হলে ক্ষতি হবে চাষ করা শীতকালীন সব্জির। তাই নদীর চর থেকে ফসল তোলার পর চণ্ডীয়া নদীর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কার কাজ শুরুর দাবি করল স্থানীয় কৃষকেরা। বুধবার বিকেলে ময়নার বলাইপণ্ডা এলাকার সুদামপুর পশ্চিম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় সুদামপুর, দোনাচক, মগরা গ্রামের একশোর বেশি চাষি জড়ো হয়ে ‘কৃষি বাঁচাও কমিটি’ গঠন করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০০:১৫
Share:

নদী সংস্কার শুরু হলে ক্ষতি হবে চাষ করা শীতকালীন সব্জির। তাই নদীর চর থেকে ফসল তোলার পর চণ্ডীয়া নদীর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কার কাজ শুরুর দাবি করল স্থানীয় কৃষকেরা। বুধবার বিকেলে ময়নার বলাইপণ্ডা এলাকার সুদামপুর পশ্চিম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় সুদামপুর, দোনাচক, মগরা গ্রামের একশোর বেশি চাষি জড়ো হয়ে ‘কৃষি বাঁচাও কমিটি’ গঠন করেছে। ওই কমিটির নেতা তথা ময়নার প্রাক্তন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সন্দীপ সামন্তের দাবি, চণ্ডীয়া সংস্কারের কাজ হোক আমরাও চাই। কিন্তু ওই নদীর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কারের জন্য যে এলাকায় মাটি কাটার কাজ হবে, সেখানে নদীর চরের কয়েকশো বিঘা জমিতে এখন শীতকালীন সব্জি চাষ রয়েছে। নদীর মাটি তুলে ফেলার জন্য ও মাটি বোঝাই গাড়ি যাতায়াতের জন্য ওইসব জমির ফসল নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা ওই ফসল তোলার পরে নদী সংস্কার কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছি। তাঁর অভিযোগ, “চণ্ডীয়া নদী সংস্কারের কাজ শুরুর বিষয়ে পরমানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কয়েকদিন আগে মাইক প্রচার করা হয়। তবে কাজ শুরুর আগে এবিষয়ে এলাকার বাসিন্দাদের বিস্তারিত কোন কিছু জানানো হয়নি। অথচ ওই নদীর চরে এলাকার কয়েকশো কৃষকের রায়ত জমি রয়েছে। সেই জমিতে এখন শীতকালীন বিভিন্ন সব্জি চাষ রয়েছে।” ফলে এলাকার অনেক কৃষক নিজেদের ফসল বাঁচানোর জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছে বলেও জানান সন্দীপবাবু।

Advertisement

সেচ দফতর সূত্রে জাা গিয়েছে, কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কার প্রকল্পে ময়না ও পিংলার মাঝে থাকা চণ্ডীয়া নদীর দ্বিতীয় পর্যায়ে সংস্কারের জন্য সেচ দফতর টাকা বরাদ্দ করেছে। ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরুর অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। চলতি নভেম্বর মাস থেকেই নদী সংস্কার কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছে সেচ দফতর। কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কার প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে চণ্ডীয়া নদীর ঢেউভাঙ্গা থেকে শ্রীধরপুর পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অংশে সংস্কার করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে শ্রীধরপুর লকগেট থেকে বড়িশা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অংশ সংস্কারের জন্য সাড়ে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করে ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু নদী সংস্কারের দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ শুরুর আগেই স্থানীয় কৃষকরা নদীর চরে থাকা সব্জি চাষের ফসল তোলার পর সংস্কার কাজ শুরুর দাবি তুলেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় পরমানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মৃণাল সামন্ত বলেন, “ময়না, পিংলা, সবং ব্লকের সার্বিক বন্যা সমস্যার সমাধানের জন্যই চণ্ডীয়া নদীর সংস্কার কাজ হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ের পর এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। এই নদী সংস্কার কাজের জন্য যাতে নদীর চরে শীতকালীন সব্জি চাষের ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়টি আমাদের নজরেও রয়েছে। এবিষয়ে প্রয়োজনে চাষিদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন