অভিযুক্ত তৃণমূল

সবংয়ে প্রহৃত সিপিএম নেতা

এক সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার খাসতালুক সবংয়ের নওগা গ্রামে। অভিযোগ, দলের বিশেষ অধিবেশন সেরে বাড়ি ফেরার পথে সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য কার্তিক ঘোড়াইকে মারধর করা হয়। রাতেই জখম অবস্থায় সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৩১
Share:

এক সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার খাসতালুক সবংয়ের নওগা গ্রামে। অভিযোগ, দলের বিশেষ অধিবেশন সেরে বাড়ি ফেরার পথে সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য কার্তিক ঘোড়াইকে মারধর করা হয়। রাতেই জখম অবস্থায় সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নওগা গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে বামেরা। গত নির্বাচনে পঞ্চায়েতের ১৩টি আসনের ৮টিতে জয়ী হয় সিপিএম, ৪টি কংগ্রেসের ও একটি আসন যায় তৃণমূলের দখলে। সম্প্রতি নওগা পঞ্চায়েত এলাকারই তুরকায় সবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা সিপিএমের জোনাল সদস্য চন্দন গুছাইত তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ ওঠে। এ বার সিপিএমের জোনাল সদস্যকে মারধরে নাম জড়িয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসের কৃষ্ণকান্ত সাঁতরার। অভিযোগ, কৃষ্ণকান্তের নেতৃত্বেই কার্তিকবাবুর উপরে চড়াও হয় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। লোহার রড, লাঠি দিয়ে চলে মারধর। মাথায় আঘাত লাগে ওই সিপিএম নেতার। প্রতিবাদে শনিবার সবংয়ের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করে সিপিএম।

হঠাৎ কেন এই হামলা?

Advertisement

সপিএমের সবং জোনাল সম্পাদক অমলেশ বসুর অভিযোগ, “একশো দিনের কাজের মাস্টার রোলে কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বিরোধী কন্ঠ রোধের চেষ্টা চলছে।” সম্প্রতি নওগা গ্রামে একশো দিনের প্রকল্পের একটি কাজ হয়েছিল। তার মাস্টার রোলে অতিরিক্ত শ্রমদিবস দেখানো হয়েছে, এই অভিযোগে সরব হন কার্তিকবাবু। এ দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কার্তিকবাবু বলেন, “আমি গত শুক্রবার বিডিও-র কাছে ওই দুর্নীতির অভিযোগ করি। মাস্টার রোল যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী করেছিল, সেটি কৃষ্ণকান্ত সাঁতরা পরিচালিত। তাই ওরা আমাকে মারধর করেছে।” কংগ্রেস অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক মানস ভুঁইয়া বলেন, “কার্তিক ঘোড়াই একাধিক খুনের আসামী। তা ছাড়া, কংগ্রেস মারপিটের রাজনীতি করে না। নিজেদের দলীয় কোন্দলে মার খাচ্ছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন