বেলিয়াবেড়া

সমবায়ের মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি মারামারি

সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির (এসকেইউএস) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা মারপিটে জড়ালেন। ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলিয়াবেড়া থানার কানপুর গ্রাম। শুক্রবার দুপুরে গোলমাল চলাকালীন সেখানে বোমাবাজি হয়, তিরও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। জখম হন উভয় পক্ষের মোট তিন জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৪৬
Share:

সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির (এসকেইউএস) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা মারপিটে জড়ালেন। ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলিয়াবেড়া থানার কানপুর গ্রাম। শুক্রবার দুপুরে গোলমাল চলাকালীন সেখানে বোমাবাজি হয়, তিরও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। জখম হন উভয় পক্ষের মোট তিন জন। এঁদের মধ্যে স্থানীয় তালগ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস মল্লিক নামে এক তৃণমূল কর্মীকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর বাম কব্জিতে গুরুতর আঘাত লেগেছে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রতিবাদে এ দিন বিকেল চারটে থেকে সন্ধ্যে ছ’টা পর্যন্ত ঘণ্টা দু’য়েক তপসিয়া মোড়ে অবরোধ করে বিজেপি। ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি তৃণমূলের কিছু লোকজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ দিন তাঁরা বিজেপির তরফে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। এ নিয়েই উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা ও মারামারি শুরু হয়। তবে ওই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন কমিটির ৬ টি আসনেই বিজেপি ও তৃণমূলপন্থীরা মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

বিজেপি’র ঝাড়গ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষের অভিযোগ, “দলের কর্মীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে মারধর করে তৃণমূলের লোকেরা। তা সত্ত্বেও কর্মীরা মনোনয়ন দাখিল করেছেন। মনোনয়ন দাখিল করে বেরনোর পরে ফের তাঁরা হামলার মুখে পড়েন।” তিনি বলেন, “অথচ আমাদের আক্রান্ত তিন কর্মীকেই মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিশ।”

Advertisement

তৃণমূলের বেলিয়াবেড়া ব্লক সভাপতি স্বপন পাত্রের পাল্টা অভিযোগ, “এ দিন আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা মনোনয়নপত্র দাখিল করে ফেরার সময় বিজেপির সশস্ত্র বাহিনী অতর্কিতে হামলা চালায়। ওরাই বোমা ফাটায়, তিরও ছোড়ে। আমাদের এক কর্মী জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।” কানপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন কমিটি আগে বামেদের দখলে ছিল। রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পরে নির্বাচন না হলেও পরিচালন কমিটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তৃণমূল। এ বার পরিচালন কমিটির নির্বাচনের দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৮ নভেম্বর। এ দিন ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে, বলছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement