এলাকা জুড়ে ‘সন্ত্রাস’ চলছে। এই পরিস্থিতিতে দেওয়াল লিখন বা প্রচার মিছিল করলে বাধার মুখে পড়তে হবে। বৃহস্পতিবার ডেবরায় বিডিও-র ডাকা সর্বদল বৈঠকে এমনই অভিযোগ তুলল সিপিএম। সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ সব দলের প্রতিনিধিরাই ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই তৃণমূলের ‘সন্ত্রাসে’র অভিযোগে সরব হন সিপিএমের জোনাল সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
ডেবরার মালিঘাটি, গোলগ্রাম, লোয়াদা, সত্যপুর, ভবানীপুর এলাকায় এক সময় সিপিএমের আধিপত্য ছিল। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে ক্রমেই তা ফিকে হয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই এলাকায় হালে পানি পায়নি সিপিএম। তবে এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর রয়েছে। গত ডিসেম্বরে লোয়াদায় তৃণমূলের মিছিলকে ঘিরে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ বাধে। সেই ঘটনায় সিপিএমের জোনাল সম্পাদক-সহ ৪৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সকলেই জামিনে মুক্তি পান। সিপিএমের অভিযোগ, ডেবরার ওই সব এলাকায় একাধিক পার্টি অফিস বন্ধ। লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মী-সমর্থকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। দেওয়াল লিখনে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল।
এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয় বলেই আশঙ্কা সিপিএমের। এ দিন সর্বদল বৈঠকে বিডিও জয়ন্ত দাসের কাছে সেই আশঙ্কার কথা জানান সিপিএমের জোনাল সম্পাদক। তিনি বলেন, “ব্লকের ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তৃণমূলের অত্যাচারে সন্ত্রস্ত। আমরা প্রচারে নামতে পারছি না। বাড়ি থেকে বেরোলেই কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দেওয়াল লিখনেও বাধা দিচ্ছে।” তৃণমূলের ডেবরা ব্লক সভাপতি রতন দে-র অবশ্য দাবি, “সিপিএম একসময় সন্ত্রাস চালিয়ে ভোট করত। কিন্তু আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন চাই। যদি সিপিএমের অভিযোগ থাকে তবে প্রমাণ দিক।” বিডিও জয়ন্ত দাস বলেন, “সর্বদল বৈঠক সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল কিছু অভিযোগ ও আশঙ্কার কথা বলেছেন। লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছি।”