রঙবেরঙের ট্যাটু কিনতে ভিড়। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।
রঙিন পরচুলা থেকে মুখোশ।
হরেক পিচকারি থেকে বাঁদুরে রং।
আছে সবই। তবে এ সবের মধ্যেও বাজার মাতাচ্ছে ড্রাগন ছাপ দেওয়া চিনা ট্যাটু। চাহিদাও ভাল রয়েছে বিভিন্ন রঙের এইসব চিনা পণ্যের। পাতলা রাবার দিয়ে তৈরি হাতে পরার এই গ্লাভসের উপর ড্রাগন সহ বিভিন্ন ছবির ট্যাটু রয়েছে। এই ট্যাটু কিনতে ভিড় জমাচ্ছে খুদে থেকে বড়রা। জেলা সদর তমলুক ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন বাজারে রং, আবির, মুখোশ, চশমা, পরচুলার সাথে এ বার দেদার বিকোচ্ছে এই ট্যাটুও।
তমলুক শহরের বড়বাজার, ভীমারবাজার, স্টিমারঘাট, ভীমারবাজার থেকে হাসপাতাল মোড় এলাকার দোকানগুলিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রং ও আবিরের দোকানগুলিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শহরের বড়বাজারে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক রং-আবিরের দোকানে চিরাচরিত গোলাপি, সবুজ রঙের আবিরের সাথে বিকোচ্ছে লাল, নীল, কমলা, হলুদ, বাদামি রঙের আবিরও। রয়েছে ভেষজ আবিরের পসরাও। পাশাপাশি দোকানে ঝুলছে নানা ধরনের মুখোশ, চশমা, বাঁশিও। এ বার সাধারণ আবির বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা কিলোগ্রাম দরে। আর ভেষজ আবির বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কিলোগ্রাম দরে। বড়বাজারের রং-আবির ব্যবসায়ী নির্বাণ মান্না জানান, গত কয়েক বছর ধরেই দামি রঙ-আবিরের চাহিদা বেড়েছে। ভেষজ আবির বিক্রি হচ্ছে ভালই। এ সব ছাড়াও নানা ধরনের মুখোশ, পরচুলা, চশমা, বাঁশিও বিক্রি হচ্ছে। তবে এ বার হোলিতে নতুন আকর্ষণ হিসেবে এসেছে হাতে পরার রঙিন ট্যাটু।
ছোটদের আকর্ষণ করতে দু’হাতে চিনা ট্যাটু পরেছেন নির্বাণবাবু। তিনি জানান, রঙিন পরচুলা ৮০-১৫০ টাকা, রঙিন চশমা ৩০-৯০ টাকা, মুখোশ ৫-১৫০ টাকা, বাঁশি ৩০-৭০ টাকা। সেখানে এই হাতে পরার ট্যাটুর দাম ৩০-৫০ টাকা। এ দিন বড়বাজারে রং-আবির কিনতে এসেছিলেন অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া দীপাঞ্জন দাস। দীপাঞ্জনের কথায়, দোকানে এসে জানতে পারলাম এ বার হোলির জন্য হাতে পরার ট্যাটু এসেছে। ট্যাটুগুলো দেখতেও বেশ ভাল। তাই মুখোশের বদলে এ বার ট্যাটু কিনলাম।
পাঁশকুড়া স্টেশন বাজারে আবিরের দোকান দিয়েছেন কালীপদ সাহু, অনিল সেতুয়া। তাঁরা দু’জনেই জানান, এ বার রং, আবিরের সাথে রঙিন মুখোশ, চশমা, পরচুলা ছাড়াও হাতে পরার চিনা ট্যাটুও বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের মতে, হোলি আমাদের দেশের উৎসব হলেও অন্য পণ্যের মতো হোলির জন্য চিনে তৈরি এইসব উপকরণও বিক্রি হচ্ছে। বেশ কয়েকবছর ধরেই রঙিন ও কম দামের জন্য বাজারে চাহিদাও রয়েছে এইসব পণ্যের। তবে হোলির জন্য এ বারও দেশে তৈরি রং-আবির কেনার চাহিদা আগের মতোই রয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে সস্তার চক গুড়ো, মাটি দিয়ে তৈরি আবিরের চেয়ে ফুলের তৈরি দামি ভেষজ আবিরের চাহিদা বাড়ছে।