কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী রামকৃপাল যাদব
বৈঠক করতে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অথচ সেখানে নেই জেলাশাসক। যে সব প্রকল্প নিয়ে বৈঠক, সেই সব আধিকারিকও গরহাজির। মেদিনীপুরে এসে এমন অভিজ্ঞতায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী রামকৃপাল যাদব রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তাই প্রশ্ন তুললেন, ‘‘কেন এই অসহযোগ?’’
উন্নয়নে তাঁর সরকার দরাজ, অথচ কেন্দ্র বঞ্চনা করছে— এমন অভিযোগ বরাবর করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। তাই গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে ডাকা বৈঠকে দিল্লির মন্ত্রী এলেও প্রশাসনের প্রতিনিধির গরহাজিরায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সামনে এসেছে বিজেপি-তৃণমূল বিরোধের বিষয়টিও। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কথায়, ‘‘দেশের অন্য কোনও রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটে না। এটা বাংলাতেই সম্ভব। মমতাদিদির বাংলায়।” রাজ্যের কাছে এর কারণ জানতে চাওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।” সেই সঙ্গে তাঁর খোঁচা, “আসলে এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ভুরি ভুরি দুর্নীতি হচ্ছে। নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে ভেবেই হয়তো বৈঠক এড়ানো হয়েছে।” বরাদ্দ টাকা সময়ে খরচ না হলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
এ দিন বিকেলে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পর্যালোচনা বৈঠকে এসেছিলেন রামকৃপাল। জেলাশাসক না এলেও বৈঠকে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অরিন্দম নিয়োগী, জেলার সহ-কৃষি অধিকর্তা দিব্যেন্দু সামন্ত। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ, “বৈঠকে জেলা প্রশাসনের যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা শুধু প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চন যোজনা নিয়ে বলেছেন। সঙ্গে জানিয়েছেন, এই প্রকল্প ছাড়া অন্য প্রকল্পের ব্যাপারে তাঁদের কিছু জানা নেই। অথচ, বৈঠকে একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের আধিকারিকদেরই থাকা উচিত ছিল।” তাঁর কথায়, “প্রোটোকল অনুযায়ী জেলাশাসকেরও আসা উচিত ছিল। কেন আসেননি বুঝতে পারছি না।”
প্রশাসনিক কর্তাদের অনুপস্থিতি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা মন্তব্য করতে চাননি। তবে জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘এখানে রাজনীতির ব্যাপার নেই। আর বিজেপির মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না। কেন্দ্রই মানুষের টাকা নয়ছয় করছে।’’