ঢাক পেটানোই সার!
ইন্টারনেট দূর অস্ত্, গঙ্গাসাগর মেলায় সাধারণ ফোনের লাইন পেতেও শনিবার হিমসিম খেল আমজনতা। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় একটি বেসরকারি টেলি সংস্থার গ্রাহক। নাজেহাল তিনিও। সুব্রতবাবু শনিবার বলেন, ‘‘ঠিকমতো ফোন ব্যবহার করতে পারছি না। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে দেখতে বলেছি।’’
মকর সংক্রান্তির দিন ভিড় যত বেড়েছে, অবনতি হয়েছে টেলি যোগাযোগের। দর্শনার্থী থেকে সরকারি আধিকারিক, পুলিশ, সংবাদপত্র কর্মী— সমস্যায় পড়েছেন সকলেই। উপযুক্ত পরিকাঠামো আদৌ ছিল কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। টেলি সংস্থাগুলির সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবও প্রকট।
বিএসএনএলের জেনারেল ম্যানেজার তমাল মিত্র বলেন, ‘‘আমাদের নেটওয়ার্কে সমস্যা হলে আমাদের অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব।’’ বিএসএনএল-এর একটি সূত্রের দাবি, ইন্টারনেটের চাহিদা সম্পর্কে তাঁদের আগাম হিসেব দেওয়া হয়নি। তবে প্রশাসন যত ব্রডব্যান্ড সংযোগ চেয়েছিল, তাই দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় তা আরও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কোথাও কোথাও সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। যদিও প্রশাসনের এক কর্তা জানান, চাহিদার আগাম ধারণা এবং সেই সংক্রান্ত তথ্য সবিস্তার আগেই জানানো হয়েছিল।
এয়ারটেলের দাবি, সার্বিক পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কোনও অভিযোগ নেই। ভোডাফোনের বক্তব্য, গ্রাহকদের সুবিধার জন্য মাঠের মধ্যে ছোট গাড়িতে (সেল অন হুইলস) ভ্রাম্যমাণ টাওয়ার রয়েছে।