শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন নিহত বিজেপি নেতাদের পরিবার

সুজাতা বলেন, ‘‘আমার স্বামীর নেতৃত্বে এলাকায় বিজেপির প্রভাব বাড়ছিল। সেটা শাসকদল মেনে নিতে না পেরে তাঁকে খুন করেছে।’’

Advertisement

দিলীপ নস্কর 

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৯ ০১:৪৪
Share:

আজ সন্ধে ৭টায় মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু।

প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পেলেন নিহত বিজেপি নেতাদের পরিবার।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মন্দিরবাজার, উস্তি, বারুইপুরে খুন হয়েছিলেন তিন বিজেপি নেতা। অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁদের খুন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে তাঁদের পরিবারের উপস্থিতি কাম্য বলে জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার বিকেলে রাজধানী এক্সপ্রেসে তাঁরা রওনা দিলেন দিল্লিতে।

২০১৮ সালে ২৭ জুলাই রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মন্দিরবাজারের ধনুরহাট পঞ্চায়েতের খোর্দ সদাশিবপুর গ্রামের বিজেপি নেতা শক্তিপদ সর্দার (৪৫) দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময়ে শিবতলা মোড়ে দুষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে পালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বিজেপি নেতার। তাঁর স্ত্রী সুজাতা মন্দিরবাজার ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি-সহ ১৭ জ‌ন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

সুজাতা বলেন, ‘‘আমার স্বামীর নেতৃত্বে এলাকায় বিজেপির প্রভাব বাড়ছিল। সেটা শাসকদল মেনে নিতে না পেরে তাঁকে খুন করেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য পরশুদিন জেলা থেকে আমাকে জানায়। আমি এখন মেয়ের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছি। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ছেলে কৃষ্ণেন্দুকে পাঠিয়েছি।’’

একই ভাবে মাস চারেক আগে উস্তির কানপুর গ্রামে বিজেপি নেতা বছর পঁচিশের বুবাই ঘড়াইকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মেলে মগরাহাটের ঝিনকির মাগুরপুকুর পোলের কাছে। ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার দিন চারেক পর কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই নেতার। বাড়িতে রয়েছে তার স্ত্রী মৌসুমি ঘড়াই ও এক ছেলে। নিহতের স্ত্রী জানালেন বিজেপির করার ‘অপরাধে’ স্বামীকে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছিল। মৌসুমি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য দু’দিন আগে জেলা নেতৃত্ব আমাকে জানিয়েছিলেন। ছেলেকে মামার বাড়িতে রেখে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি যাচ্ছি।’’

বছর দু’য়েক আগে দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে খুন করেছিল বারুইপুর থানার চম্পাহাটির বাসিন্দা বিজেপি কর্মী সৌমিত্র ঘোষালকে বলে অভিযোগ। খুন করার পর গাছে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়ায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে নিহতের বাড়িতে এসে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এলাকায় বিজেপি করার জন্যই বিজেপি কর্মীকে খুন করেছিল তৃণমূলের লোকজন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন নিহতের পরিবারের লোকজন।

সৌমিত্রর বাবা বিশ্বনাথ ঘোষাল ও বৌদি শিখা ঘোষাল বুধবার দিল্লিতে রওনা দিয়েছেন। তাঁরা জানান, মোদীজির ভক্ত ছিলেন সৌমিত্র। বিজেপি দলকে মনে প্রাণে ভালবাসার কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন