আগামী ২২ মে নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি সভায় এসে সারদা এবং নারদ প্রসঙ্গে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা সাংসদ মহম্মদ সেলিম।
রবিবার বিকেলে শ্রীরামপুরের গাঁধী ময়দানে হুগলি জেলা ডিওয়াইএফের সভায় হাজির ছিলেন ওই সিপিএম নেতা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘চিটফান্ডের যত টাকা লুঠ করেছেন তৃণমূলের নেতারা, তার পাই-পয়সার হিসেব হবে। তবে নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহয়ের দয়ায় নয়। প্রত্যেকটা অপরাধীকে ধরতে হবে।’’ নাম না করে শ্রীরামপুরের তৃণমূলের আইনজীবী-সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নিতে ছাড়েননি সেলিম। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘যত মামলা লড়েন আপনাদের হুগলির একজন সাংসদ। আমি অবশ্য ওদের উকিল বলি না।’’
এছাড়াও সভায় ছিলেন দলের পাণ্ডুয়ার বিধায়ক আমজাদ হোসেন, জেলা সিপিএম সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী, ডিওয়াইএফ-এর রাজ্য সভাপতি সায়নদীপ মিত্র প্রমুখ।
এ দিনই হুগলির বলাগড় ব্লক তৃণমূলের সম্মেলনে হাজির ছিলেন সাংসদ মুকুল রায়। সোমরা বাজারে আয়োজিত কর্মসূচিতে তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করেন। মুকুলের কথায়, ‘‘বিজেপি যতই লম্ফঝম্প করুক, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘গত বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোটে সংবাদমাধ্যমের প্রচার থেকে সারদা-নারদ নিয়ে কুৎসা, বিরোধী দলগুলোর অপপ্রচার সব এক দিকে ছিল। এক দিকে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন। ফল কী হয়েছে দেখেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই ফলই ফের দেখা যাবে।’’ ছিলেন দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, সাংসদ রত্না দে নাগ, দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদব প্রমুখ।