যাদবপুরের তকমার পথে বাধা এখন অর্থ

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের চিঠি তাঁরা পেয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:২৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

টাকা কেন্দ্র দেবে ঠিকই। কিন্তু কেন্দ্র যা দেবে, রাজ্য সরকার যদি তার সমপরিমাণ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তবেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া হবে বলে চিঠিতে জানাল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। আর এখানেই যাদবপুরের ওই তকমা প্রাপ্তি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন শিক্ষা শিবিরের একাংশ। কেননা রাজ্য সরকারের ভাঁড়ারের দশা মোটেই ভাল নয়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পক্ষে কেন্দ্রীয় অনুদানের সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের চিঠি তাঁরা পেয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, রাজ্য সরকারের তরফে সমপরিমাণ টাকা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কেন্দ্রকে চিঠি দেবেন। রাজ্যের আর্থিক অবস্থা যা, তাতে এই টাকা যে দেওয়া সম্ভব নয়, সেটাই তাঁরা জানাবেন। মোট আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ ১০১৫ কোটি টাকা। তার ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৫০৭.৫০ কোটি দিতে হবে রাজ্যকে।

গত মাসেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এ বছর ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষ মর্যাদা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক ভাবে বেছে নিয়েছে ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়োগ করা কমিটি। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার পাঁচটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্র। তালিকায় থাকলেও যাদবপুরের নাম ঘোষণা করা হয়নি। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, শর্ত ছিল, কেন্দ্র যে-পরিমাণ টাকা দেবে, তার সমপরিমাণ টাকা দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য সরকার সবুজ সঙ্কেত দিলেই যাদবপুর ও অণ্ণা বিশ্ববিদ্যালয়কে ওই মর্যাদা দেওয়া হবে। কিন্তু ওই দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই রাজ্যের আশ্বাস না-পাওয়ায় আপাতত ওই উৎকর্ষ মর্যাদা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

Advertisement

সুরঞ্জনবাবু শুক্রবার বলেন, ‘‘যখন ‘ইনস্টিটিউশনস অব এমিনেন্স’ হওয়ার জন্য আমাদের প্রাথমিক ভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়, তখন এই আর্থিক শর্তের কথা আমাদের জানানো হয়নি। এখনও সরকারি ভাবে জানানো হয়নি। বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারছি। অণ্ণা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য আমরা একসঙ্গে আবেদন জানাব।’’ সুরঞ্জনবাবু জানান, সোমবার তিনি রুসা বা রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযানের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে অণ্ণা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও আসছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন