পাহাড়ে হামলা স্কুলগাড়িতে

এ দিন কালিম্পঙের ডম্বরচকের কাছে স্কুল পড়ুয়াদের গাড়িটি আটকায় কট্টরপন্থীরা। পুলিশ এসে ভিড় হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশের দাবি, এসপি-র গাড়িতে হামলার উপক্রম হলে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে তারা।

Advertisement

কিশোর সাহা ও প্রতিভা গিরি

শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:২৫
Share:

স্কুল আবার চালু হয়েছে। পড়ুয়াদের যাতায়াতও শুরু হয়েছে। শুক্রবার কালিম্পঙে তেমনই একটি স্কুলের গাড়ির উপরে হামলা চালিয়ে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করেন মোর্চার কট্টরপন্থীরা। পরে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে বলা হয়, যে ভাবে পাহাড় স্বাভাবিক হচ্ছে, তাতে শঙ্কিত কট্টরপন্থীরা হাঙ্গামা বাধিয়ে আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছেন। কিন্তু পাহা়ড়ের মানুষ তা আর হতে দেবেন না।

Advertisement

এ দিন কালিম্পঙের ডম্বরচকের কাছে স্কুল পড়ুয়াদের গাড়িটি আটকায় কট্টরপন্থীরা। পুলিশ এসে ভিড় হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশের দাবি, এসপি-র গাড়িতে হামলার উপক্রম হলে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে তারা। পাল্টা ইট বৃষ্টি হয় মোর্চা সমর্থকদের দিক থেকে। দুপুর পর্যন্ত গড়ায় এই গোলমাল। পরে কালিম্পং পুরসভার কাউন্সিলর বিমলা ছেত্রী-সহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাতে মোর্চার দফতরে পুলিশ তল্লাশি চালায়। স্থানীয়রা জানান, আন্দোলনের শুরুতে সিংমারিতে যে মোর্চা-পুলিশ সংঘর্ষ হয়েছিল, এ দিন তেমনই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মিরিকেও একটি গাড়িতে হামলা হয়। পুলিশ বন্‌ধ-সমর্থকদের হটাতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।

পাহাড়ের রাশ রাখতে কট্টরপন্থীরা মরিয়া হয়ে এই গোলমাল করছে, বলছেন পাহাড়ের নেতারাই। হরকা বাহাদুর বলেন, ‘‘মোর্চার মিছিলে লোক হচ্ছে না। তাই ভয় পেয়ে পাহাড়বাসীকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ উল্টো দিকে ভিড় বাড়ছে বিনয় তামাঙ্গ, অনীত থাপাদের কাছে। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী থেকে ফুড চেনের এজেন্ট— কে দেখা করছেন না বিনয়ের সঙ্গে! দার্জিলিঙের শতবর্ষ প্রাচীন রেস্তোরাঁর কর্ণধারও বিনয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘‘পুজোয় ব্যবসা করতে পারব বলে মনে হচ্ছে।’’

Advertisement

একই ভাবে অনীতের বাড়ির সামনে ভিড় জিএলপি সদস্যদের। এঁদের অন্তত ৩০০ জনের নামে সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময়ে নানা হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে মামলা হয়েছে। এখন বিমল গুরুঙ্গের হাত মাথার উপর থেকে সরে যাচ্ছে দেখে তাঁরা অনীতদের দ্বারস্থ। অনীতরাও আস্থা অর্জনে পাল্টা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

যা নিয়ে বিনয়ের মন্তব্য, ‘‘আমি, অনীত সকলকে নিয়েই এগোচ্ছি। কারণ, পাহাড়ের মানুষ গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন দেখলেও একনায়কতন্ত্র চান না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন