জমি সরছে, চিন্তা গুরুঙ্গের

মিরিক হাতছাড়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই গোটা পাহাড়েই মোর্চার পায়ের তলার জমি সরছে।পাহাড়ের চারটি পুরসভায় মোট ভোটের বিচারে তৃণমূল সহ পাহাড়ের বিরোধীরা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার একেবারে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে।

Advertisement

কিশোর সাহা

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ০৩:১৬
Share:

মিরিক হাতছাড়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই গোটা পাহাড়েই মোর্চার পায়ের তলার জমি সরছে।

Advertisement

পাহাড়ের চারটি পুরসভায় মোট ভোটের বিচারে তৃণমূল সহ পাহাড়ের বিরোধীরা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার একেবারে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে। চার পুরসভা মিলিয়ে মোর্চা বিরোধীদের থেকে মাত্র ২৬৬৫টি ভোট বেশি পেয়েছে।

এই হিসেব জানার পরে বুধবার রাতেই জরুরি বৈঠক করেছেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। বৃহস্পতিবারও দিনভর অঙ্ক কষেছেন তাঁরা। জিটিএ ভোটের কথা মাথায় রেখে কোথায়, কী ভাবে ‘পরিস্থিতির মোকাবিলা’ করা যাবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সভাসদদের রিপোর্ট তলব করেছেন মোর্চার শীর্ষ নেতৃত্ব। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘রিপোর্ট পেলেই বৈঠক হবে। আত্মতুষ্টির অবকাশ আর নেই।’’

Advertisement

তবে পাহাড়ের ৪ পুরসভার মধ্যে ৩টি দখলে রাখতে পারায় বুধবার স্বস্তি পেয়েছিল মোর্চা। কিন্তু সন্ধ্যার পরেই হিসেবে দেখা যায়, চারটি পুরসভায় মোট ভোট পড়েছে ৮৩, ৩৩৯টি। মোর্চার ঝুলিতে গিয়েছে ৪৩ হাজার ২টি ভোট বা মোট ভোটের ৫২ শতাংশ। তৃণমূল-জিএনএলএফ জোট পেয়েছে ২৩ হাজার ৫২টি।

জন আন্দোলন পার্টির মিলেছে ৮ হাজার ৪৯৫টি ভোট। নির্দলরা পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৯০টি ভোট। অর্থাৎ, মোর্চা বিরোধীদের মোট ভোট ৪০ হাজার ৩৩৭। যা মোট ভোটের ৪৯ শতাংশ।

দেখে উজ্জীবিত বিরোধীরাও। তবে জাপ এখনও ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি। কালিম্পঙে মোর্চার (১০,০৯৯) চেয়ে মাত্র ২ হাজার ৩৭৭টি ভোট কম পেয়েছে জাপ। তৃণমূল সেখানে পেয়েছে ৩ হাজার ৮৫০টি ভোট। যা জুড়লে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৫৭২টি ভোট।

হরকাবাহাদুর ছেত্রী জানিয়েছেন, পাহাড়ের মানুষকে যে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে ভোলানো যাচ্ছে না, তা বিরোধী পক্ষ বেশি ভোট পাওয়ায় স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘‘এই হিসেব মাথায় রেখে আগামী দিনে পদক্ষেপ করতে হবে সকলকেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement