—ফাইল চিত্র।
কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে গিয়ে বিপ্লব বৈদ্য ও কুন্তল কাঁড়ার এবং মাকালু শৃঙ্গ জয় করে ফেরার পথে দীপঙ্কর ঘোষের মৃত্যুর পরে আবার এক বাঙালি পর্বতপ্রেমীর প্রাণ গেল পাহাড়ে। হিমাচল প্রদেশের বুরান ঘাটি ট্রেকিংয়ে গিয়ে ওই এক বাঙালি অভিযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁর এক সহযাত্রীও।
হিমাচল প্রশাসন সূত্রের খবর, মৃত অভিযাত্রীর নাম দেবাশিস মাহাতো (৪১)। বাড়ি মধ্যমগ্রামে। তাঁর সহযাত্রী রূপম ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের বন্ধু সৌমিত্র বসু জানান, রূপমবাবু আপাতত একটি সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। ওই দলে আরও পাঁচ জন ছিলেন। তাঁদের কারও শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক নয়।
সৌমিত্রবাবু জানান, দেবাশিসবাবু একটি বিমা সংস্থায় চাকরি করতেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, শিশু পুত্র এবং বাবা-মা রয়েছেন। দেবাশিসবাবুদের সাত জনের দলটি ১৮ মে কলকাতা থেকে রওনা দেয়। হিমাচলের বুরান ঘাটি পেরোনোর কথা ছিল তাদের। গত শুক্রবার ওই গিরিপথ পেরিয়ে নীচের দিকে নামার সময় প্রবল তুষারঝড়ের মুখে পড়ে দলটি। খাবার ও জল ছাড়া প্রায় ১২ ঘণ্টা তুষারঝড়ের মধ্যে আটকে থাকেন অভিযাত্রীরা। তখনই দেবাশিসবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে অন্য একটি অভিযাত্রী দলের সাহায্যে তাঁকে নীচে নামিয়ে আনা হয়। অক্সিজেন দেওয়া এবং শরীর গরম করার চেষ্টা হলেও তা কাজে আসেনি। রূপমবাবুকে ফৌজি হেলিকপ্টারের সাহায্যে একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এ দিন দেবাশিসবাবুর দেহ সাংলায় পৌঁছয়।
এ বছর হিমালয়ে অভিযানে গিয়ে কার্যত মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছে। মাকালু অভিযানে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে হাওড়ার দক্ষ পর্বতারোহী দীপঙ্করবাবুর। কাঞ্চনজঙ্ঘা শিখর জয় করে ফেরার পথে মারা যান হাওড়ার কুন্তলবাবু এবং মাদুরদহের বিপ্লববাবু।