মুকুল রায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের বড়সড় তোপ দাগলেন মুকুল রায়। এ বার ভারতী ঘোষ ইস্যুতে। কিছু দিন আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের কথায়, “ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বভাব।” নিজের প্রাক্তন নেত্রী সম্পর্কে এই গুরুতর মন্তব্য করেই থামেননি মুকুল। তাঁর আরও দাবি, শুধু ভারতী নন, অনেক পুলিশ অফিসারের ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটছে।
কালচিনি যাওয়ার পথে আজ আলিপুরদুয়ারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুকুল। এই মুহূর্তে রাজ্য প্রশাসনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ভারতী ঘোষের বদলির নোটিস এবং তার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ। মুকুল রায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাই কি ভারতীকে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের পদ থেকে সরিয়ে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে পাঠানোর কারণ? এ প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে গত ক’দিন ধরেই।
সত্যিই কি তাঁর সঙ্গে ভারতীর যোগাযোগ রয়েছে? মুকুলের উত্তর, “অনেক পুলিশ অফিসারের সঙ্গেই আমার যোগাযোগ রয়েছে।”
আরও পড়ুন: ইস্তফা ভারতীর, গ্রহণ করছে সরকার
ঝাড়গ্রামে মমতার সঙ্গে ভারতী ঘোষ। ফাইল চিত্র।
গত সোমবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের পদ থেকে ব্যারাকপুরে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের তৃতীয় ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডিং অফিসারের পদে বদলি করা হয় ভারতী ঘোষকে। একদা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই আইপিএসের এমন বদলিতে জল্পনার ঢেউ ওঠে। এক সময় ভারতী ঘোষকে ‘পুলিশ অফিসারের ইউনিফর্মে মমতার একনিষ্ঠ রাজনৈতিক কর্মী’ বলেও কটাক্ষ করতেন বিরোধীরা। ভারতী নিজে এই বিতর্কে ইন্ধনই দিয়ে গিয়েছেন বারংবার। কখনও তিনি মমতাকে ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলে সম্বোধন করেছেন, কখনও মা সারদা আর মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতীর বদলির পর ক্লোজ তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ ওসি
সেই ভারতীতে কেন সরানো হল? নানান কারণ ঘোরাফেরা করছে আলোচনায় বা জল্পনায়। কারও মতে, রাজ্যের এক ‘প্রভাবশালী’ মন্ত্রী নাকি ভারতীর বদলির পিছনে রয়েছেন। আবার কেউ কেউ মনে করেছেন, বিজেপি তথা মুকুল রায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় এই ‘শাস্তি’র মুখে পড়তে হয়েছে ভারতীকে। অন্যান্য আরও কিছু কারণও ঘোরাফেরা করছে এই জল্পনায়।
তবে বদলির নির্দেশের পর নতুন দায়িত্বে যোগ না দিয়ে চাকরি থেকেই ইস্তফা দিয়ে দেন ভারতী। নবান্ন সূত্রে খবর, ভারতী ঘোষের ইস্তফা গ্রহণও করে নিচ্ছে রাজ্য সরকার।