Mukul Roy

ফের ডাক দিল্লিতে, বিজেপিতেই আছি, দাবি মুকুল রায়ের

শনিবার কলকাতায় মুকুল দাবি করেছেন, তিনি বিজেপিতেই আছেন এবং থাকবেন। বাকি সব অপপ্রচার।

Advertisement

অগ্নি রায় ও রোশনী মুখোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২০ ০৪:৪৯
Share:

তাঁকে ঘিরে যাবতীয় গুঞ্জন ও জল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছেন মুকুল রায়। —ফাইল চিত্র।

রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিল্লির বৈঠকে যোগ না দিয়ে কলকাতায় ফিরে এসেছেন মুকুল রায়। ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই তাঁকে ফের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হল। সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবার অমিত শাহ মুকুলের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন। অন্য দিকে, শনিবার কলকাতায় মুকুল দাবি করেছেন, তিনি বিজেপিতেই আছেন এবং থাকবেন। বাকি সব অপপ্রচার।

Advertisement

দিল্লির বৈঠকে মুকুলের না থাকা নিয়ে বিজেপির রাজ্য রাজনীতিতে গত দু’দিন ধরে জলঘোলা চলছে। প্রকাশ্যে কেউ স্বীকার না করলেও মুকুল কেন ফিরে এলেন, কেন তাঁর দিল্লির বাড়ির সামনে থেকে মোদী-শাহের ছবি-সহ হোর্ডিং ‘ঝড়ে উড়ে গেল’, সবই জল্পনায় ইন্ধন জোগাচ্ছে। কলকাতায় ফেরার কারণ সম্পর্কে মুকুল জানিয়েছিলেন, চোখের জরুরি চিকিৎসার জন্য তাঁকে ফিরতে হচ্ছে। অথচ শনিবার তিনি নিজেই জানান, ডাক্তার দেখাবেন সোমবার। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার দাবি করেছিলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির সতর্কতা এবং শারীরিক কারণে মুকুলদা দূরত্ব রেখে চুপচাপ থাকছেন।’’ সূত্রের খবর, বুধবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বাড়িতে বৈঠকে বাংলায় বিজেপির নির্বাচনী সাফল্যের সম্ভাবনার যে ধরনের ছবি তুলে ধরা হয়েছিল, মুকুল তার সঙ্গে একমত হতে পারেননি। আসনপ্রাপ্তির সম্ভাব্য সংখ্যা নিয়ে রাজ্য দলের কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের সঙ্গে মুকুলের কিছুটা মতভেদও হয়। তার পর বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তিনি যোগ দেননি। শুক্রবার ফিরে আসেন কলকাতায়।

আরও পড়ুন: করোনা রোগীর সঙ্গে অন্য রোগীও রাখছে নার্সিংহোম?

Advertisement

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ভবনে ধর্নার হুমকি গহলৌতের

এ দিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত অমিত শাহের কাছে গিয়ে রাজ্যের নির্বাচনে মুকুলের ‘প্রয়োজনীয়তা’ ব্যাখ্যা করেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। পর্যবেক্ষকদের অনেকের ধারণা, মুকুলকে শুক্রবার ডেকে পাঠানোর পিছনে এই বিষয়টিও কাজ করছে। সূত্রের খবর, কৈলাস ফোনে মুকুলকে জানিয়েছেন, শাহ কথা বলতে পারেন। তাই মুকুল যেন শুক্রবার সকালে দিল্লি পৌঁছে যান। তবে দিলীপ-শিবির বিষয়টিকে কী ভাবে দেখবেন এবং শুক্রবারের শাহ-মুকুল সম্ভাব্য বৈঠকের আগে কোনও পদক্ষেপ করবেন কি না, সে দিকেও পর্যবেক্ষকদের নজর রয়েছে।

তাঁকে ঘিরে যখন বিবিধ গুঞ্জন ও জল্পনা, তখন সে সব নস্যাৎ করতে চেয়ে মুকুল এ দিন বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব নিয়ে যা যা রটনা হচ্ছে, সবটাই বানানো এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’ আজ, রবিবার তিনি সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন বলেও ইঙ্গিত মিলেছে। মুকুলের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে আরও জানা যায়, এ বার দিল্লিতে থাকাকালীন তিনি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। তখন সময় মেলেনি। তবে শনিবার তাঁর কাছে নড্ডার অফিস থেকে ফোন আসে। মুকুল জানিয়ে দেন, তিনি কলকাতায় ফিরে এসেছেন।

এ দিন দিল্লিতে বিজেপির বৈঠকে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর এবং কৃষ্ণনগর—এই চার লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভা আসনগুলিতে দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট জেলা সভাপতিরা বৈঠকে ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন